বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকদিন ধরেই ডার্বির দিনক্ষণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছিল, কারণ আগামী বড় ম্যাচের দিনই ব্রিগেডে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার চলে এল বিরাট আপডেট।
তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের জন্য ১০ মার্চ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হবে না আইএসএল-এর ডার্বি। শুক্রবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গে আয়োজক ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বৈঠক হয়। পুলিশের তরফ থেকে ১১ই মার্চ ডার্বি আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এখন এফএসডিএল সিদ্ধান্ত জানাবে ইস্টবেঙ্গলকে ১১ মার্চ ডার্বি আয়োজন সম্ভব কিনা।
ডার্বির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বিধাননগর সিটি পুলিশ। পুলিশের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, ১০ মার্চ রবিবারের বদলে সোমবার ডার্বি আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু ইস্ট-মোহনের ম্যাচেই আইএসএলের সব থেকে হাই প্রোফাইল ম্যাচ। এফএসডিএল শনি বা রবিবার এই ম্যাচ করতে চায়। ফলে ১১ মার্চ, সোমবার কোনও ভাবেই ইস্ট-মোহন ম্যাচ আয়োজন করতে রাজি হবে না। ফলে আশঙ্কা রয়েছে এই ম্যাচ অন্যত্র সরে যাওয়ার।
গত কয়েকদিন ধরেই ডার্বির দিনক্ষণ নিয়ে জটিলতা চলছিল। বিশেষ করে ১০ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়ার পরই। কারণ একই দিনে শহরে দুটি মেগা ইভেন্ট কীভাবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অবশেষে শুক্রবার বড় দুঃসংবাদ বাংলার ফুটবল প্রেমীদের জন্য এল।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকেরা লাল হলুদ কতর্াদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, ৯ এবং ১০ মার্চ ডার্বির জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না।চলতি মরশুমে সম্ভবত শেষ কলকাতা ডার্বি এটাই। চলতি মরশুমে বড় ম্যাচের ফলাফলে ২-১-এ এগিয়ে আছে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে। শেষ বড় ম্যাচ ড্র হয়েছিল। কিন্তু আসন্ন বড় ম্যাচ নিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল।
পরিস্থিতি যা তাতে ১০ মার্চ ডার্বি করার বিষয়ে এফএসডিএল অনড় থাকলে অন্যত্র সরে যেতে পারে বড় ম্যাচ। সেক্ষেত্রে তালিকায় এগিয়ে থাকবে ভুবনেশ্বর। যদিও বড় ম্যাচ কলকাতায় আয়োজন করতে মরিয়া লাল হলুদ কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের আশা সমস্যা মিটে যাবে। লাল হলুদ কর্তাদের শেষ ভরসা এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পদক্ষেপ করতে পারেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের কথা ভেবে। কলকাতা ডার্বি অন্য রাজ্যে হলে দু’দলের সদস্য-সমর্থকেরা মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ হারাবেন। রাজনৈতিক সমাবেশের কারণে ঘরের মাঠে বড় ম্যাচ দেখার সুযোগ হারাতে পারেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা।