বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত জনমুখী প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল ‘স্বাস্থ্যসাথী’। ক্রমশই জনসাধারণের আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে প্রকল্পটি।

 

এবার ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ও জেলা হাসপাতালগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ক্যানসার ডিটেকশন ইউনিট বা ডিস্ট্রিক্ট অঙ্কোলজি ইউনিট তৈরি হয়েছে। সেখানে ক্যানসারের চিকিৎসার পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার গাইডও করা হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে ক্যানসারের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, অপারেশান, কেমো, রেডিয়েশন ইত্যাদির বন্দোবস্ত। রাজ্য সরকারের এই দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগে শহরের মানুষের পাশাপাশি উপকৃত হচ্ছেন গ্রামের মানুষও। এখন ক্যানসার হলে বা ক্যানসারের উপসর্গ দেখা দিলে আর কলকাতার বড় হাসপাতাল বা ক্যানসার হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের জেলার হাসপাতালগুলিতেই মিলছে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বা অঙ্কোলজিস্ট। তারা ক্যানসার রোগীর যেমন চিকিৎসা করবেন, প্রয়োজনে মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে রোগীকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন। কোথায় গেলে রোগী বিনামূল্যে ভালো চিকিৎসা পাবেন, হদিশ দেবেন তারও।

উল্লেখ্য, এ সবকিছুর জন্য রয়েছে সরকারের নির্দিষ্ট গাইডলাইন। আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে শুধু সরকারি নয়, নথিভুক্ত বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবেন ক্যানসার রোগীরা। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা মতোই উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও তৈরি হয়েছে ক্যানসার ডিটেকশন ইউনিট বা জেলা অঙ্কোলজি ইউনিট। হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল জানান, সোম থেকে শনি প্রতিদিনই এই ইউনিট খোলা থাকে। ওপিডিতে দু’জন অঙ্কোলজিস্ট আছেন। মঙ্গল ও শুক্রবার বোর্ড বসে। এই বোর্ডে অঙ্কোলজিস্টদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও থাকেন। ক্যানসার রোগীদের জন্য মেল ও ফিমেল ওয়ার্ডে ২টি করে মোট ৪টি বেডের ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও এফএনএসি, বায়োপসি পরীক্ষা-সহ কেমো, রেডিয়েশন ও ছোটখাটো অপারেশনও করা হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। বড় অস্ত্রোপচার বা উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি গাইডলাইন মেনে চিকিৎসা সংক্রান্ত সবরকমের সাহায্য করা হয় রোগী ও রোগীর পরিবারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *