বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: অতি বর্ষণ ও বন্যায় বিপুল ক্ষতির মুখে বাংলার কৃষকরা। তাই কৃষক শস্যবীমার পরিমান বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আগামী ১০ দিন সময় সীমার মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সরকার কাজে হাত দিয়েছে।
কৃষি দপ্তর এই মাসেই জেলায় জেলায় কৃষক বন্ধু শিবির খুলছে। রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের এই বীমার অধীনে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলেছে সরকার। জেলার ব্লক অফিস ও অন্যান্য কিছু স্থানে শিবির খোলা হচ্ছে। ২০১৯ সালে এই প্রকল্প চালু করার পরে এখন পর্যন্ত ২২৮৬ কোটি টাকা সরকার খরচ করেছে।
ইতিমধ্যে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। বর্ষায় যেভাবে শস্যহানি হচ্ছে তাতে কৃষকের হাতে অর্থ সাহায্য তুলে দেওয়াই সরকারের মূল লক্ষ।
কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যা কবলিত জেলায় ধান ও খরিফ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার বিকল্প হিসেবে রবিশস্য চাষ করা যেতে পারে। সেজন্য বাড়তি সরিষা, তোরিয়া এবং ডাল বীজ সরবরাহ করা হবে। তা ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে পৌঁছে দিতে হবে, এই মর্মেও আধিকারিকদের ক্ষতির মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে। সেই মর্মে জেলায় রিপোর্ট পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কৃষি দফতর। বন্যার জল নেমে গেলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তসাপেক্ষে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য।