বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক। DVC-র জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমেছে বলে খবর ।
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বহু গ্রাম জলের তলায়। তবে, গতকাল পরিস্হিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমতা ২ নম্বর ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এখনও জলমগ্ন। স্পিডবোটের মাধ্যমে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও ব্লক স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এখানে বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য দক্ষিণ মানশ্রী ওরিয়েন্ট প্রাইমারী স্কুলে আজ একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। উদয়নারায়ণপুর ব্লক স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতি এবং ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমী অফ পেডিয়াট্রিক্সের উদ্যোগে আয়োজিত এই শিবির সকাল ১১-টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকেল চারটে পর্যন্ত। জেলার আমতা দু নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো জলের তলায়। জলের তলায় সেহাগড়ি – ঝিকিরা রাস্তা। কোথাও কোথাও প্রায় একতলা বাড়ির সমান জল। গ্রামে গ্রামে তীব্র পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে, সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কিছু এলাকায় প্রায় দেড় দু কিলোমিটার বুক সমান জল পেরিয়ে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এদিকে, হুগলির খানাকুলে বহু বাড়ি ঘর এখনও জলমগ্ন। পুড়শুড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার জলে ভেঙেছে ঘরবাড়ি। পানীয় জলের সমস্যা তুঙ্গে।
দুই মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতিও জটিল আকার নেওয়ায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
বন্যার মধ্যেই ভাগীরথীর ভাঙন শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। গতকাল ও আজ সকালে সামশেরগঞ্জের লোহরপুর, শিবপুরে ব্যাপক ভাঙন হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। কয়েক বিঘা চাষের জমিও। নদী পৌঁছে গিয়েছে জনপদে। গোটা গ্রাম আতঙ্কে ঘর ছাড়ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি সর্বত্র।