বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা অঞ্চলে মজে যাওয়া যমুনা নদী অঞ্চল দখল করে ভেরি বানিয়ে মাছের চাষ করছে এলাকার প্রচুর মানুষ। তারা শাসকদলের মানুষ বলেই অভিযোগ।
অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ওই অঞ্চল পুরোটাই জলে তলায় ডুবে গেছে। জবরদখল করা মাছের ভেড়ি কেটে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। অবিলম্বে এই বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনকে। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নারায়ণ গোস্বামী গাইঘাটার জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে গাইঘাটা বিডিও অফিসে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কোন দল তা দেখার দরকার নেই। এই মুহূর্তে জল প্লাবন থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে।
ওই অঞ্চলে তৈরী হয়েছে কিছু ত্রাণ শিবির। সেই ত্রাণ শিবিরে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার জন্য তিনি বিদ্যুৎ দপ্তরকে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরগুলিতে প্রতিদিন দু-বেলা করে রান্না করা খাবার দেওয়ার জন্য বিডিও-কে নির্দেশ দেন। কৃষি ক্ষেত্রে কত জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সেই বিষয়ে কৃষি দফতরের আধিকারিককে সঠিকভাবে তথ্য জানানোর জন্য নির্দেশ দেন। তিনি জেলা শাসককে বলেন, দ্রুত দখলকরা মজে যাওয়া যমুনা নদীকে মুক্ত করতে হবে। এর ফলে এলাকার বাস্তুতন্ত্রের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে।গাইঘাটাতে ১৫টি ত্রাণ শিবিরে ৭৫০ পরিবার রয়েছে বলে প্রশাসনিক বৈঠকের শেষে জানিয়েছেন নারায়ণ গোস্বামী। আবার একই সঙ্গে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে তিনি তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।