বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সারা দেশ তাকিয়েছিল ওই সবার দিকে। কিন্তু দু’পক্ষের অনমনীত মনোভাবের জন্য পিছিয়ে গেলো ওই বহু কাঙ্খিত সভা। বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল দুটো ইস্যু – সভায় ৩০ ছাত্র প্রতিনিধি থাকবে ও লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে। সরকার কোনো শর্তেই রাজি না।
শেষ পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে সভা করতে মুখ্যমন্ত্রী রাজি হলেও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যাপারে তাঁর ঘোর আপত্তি। রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ফর্মাল মিটিং এ লাইভ স্ট্রিমিং হয় না, রাজ্যের ডিজি বলেন, যেটা পাবলিককে বলতে হয়, সেটা লাইভ স্ট্রিমিং হয়। যেটা পাবলিককে বলতে হয়, সেটা লাইভ স্ট্রিমিং হয়। নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন বিকেল ৫ টা থেকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। এদিকে, ডাক্তারদের বক্তব্য, লাইভ স্ট্রিমিং এর দাবিতে তাঁরা অনড়। বারেবারে তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে প্রশাসন সাফ জানিয়েছে, লাইভ স্ট্রিমিং এ তাদের আপত্তি রয়েছে। এক চূড়ান্ত আচলাবস্থা তৈরী হয়েছে।
ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষারত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে নবান্ন থেকে বারবার প্রশাসনিক কর্তারা আন্দোলনরত চিকিৎকদের ভিতরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে, এই দাবি ধরে রেখে তাঁরা নিজেদের পুরনো অবস্থানে অনড় বলে জানা গিয়েছে। নবান্নের সভাঘরের সামনে কার্যত স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতি। একপক্ষে জুনিয়ার ডাক্তাররা, অন্যপক্ষে প্রশাসন। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রথমে রাজ্য জানিয়েছিল ১৫ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে আসার কথা। পরে ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে গেলেও চিকিৎসকদের ঢুকতে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ৩০ জনকে নিয়ে সভা করার জন্য ইতিমধ্যে সভাস্থল পরিবর্তন করে বড়ো হল সাজানো হয়েছে। কিন্তু লাইভ স্ট্রিমিং এ রাজি নয় নবান্ন। এদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী বহু সভার লাইভ স্ট্রিমিং হয়েছে। তাহলে কেন এবার হবে না। আচলাবস্থা এখনও কাটে নি।