বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুবই কাছের মানুষ ছিলেন অনুব্রত মন্ডল। সেই অনুব্রত মন্ডলের কন্যা বলে কথা! অনুব্রত মন্ডল ছিলেন এক সময় বীরভূমের বেতাজ বাদশা। আর তার কন্যা সুকন্যা স্বাভাবিক কারণেই সকলের ‘নয়নের মণি।’সুকন্যা জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরছে।

 

জামিনের খবর জানাজানি হতে খুশিতে আত্মহারা জেলার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা। সেই খুশিতে গ্রামবাসীদের মাংস ভাত খাওয়ানো হল নানুরে। শুধু মাংস নয়, পাতে ছিল আলু পোস্ত, চাটনিও। তা নিয়েই চর্চা নানুরের রাজনৈতিক মহলে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নানুরের তৃণমূল নেতা কেরিম খান জানান, “দীর্ঘদিন ধরে আইনের বেড়াজালে আটকে ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তাঁর জামিন হওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সাধারণ মানুষ সে কারণেই সেই আনন্দে সামিল হয়ে রাস্তায় পাত পেরে খেয়েছেন।” সুকন্যা নিজে হয়তো সরাসরি গোরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত নয়, কিন্তু তার একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে, অথচ একজন শিক্ষিকা হয়ে তিনি কিছুই জানেন না – এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? – এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

ED তার বিরুদ্ধে কেস করলেই, CBI কিন্তু সুকন্যাকে হেফাজতে নিতে চায় নি। সেই কারণেই তার জামিন হয়ে গেলো। সুকন্যার জামিন হলেও তিনি এখন বিদেশ যেতে পারবেন না। তার ফোন নম্বর ED এর কাছে থাকবে। যদি সুকন্যা মোবাইল নম্বর চেঞ্জ করেন, তা জানাতে হবে EDকে। তাছাড়াও ব্যক্তিগত ১০ লক্ষ টাকা বন্ডে তাকে জমিন দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের করা মামলায় সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন সুকন্যা। যদিও একই মামলায় তাঁর বাবা অনুব্রত তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তবে জামিন মিললেও সুকন্যার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ শর্ত। এখন প্রশ্ন, এতো বড়ো বাড়িতে সে একা থাকবে কি করে? মা মারা গেছেন অনেকদিন। বাবা জেলে। এটাই হয়তো তার ভাগ্যের পরিহাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *