বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: একেই বলে মধ্যবিত্ত বাঙালির আন্দোলন। এমন উত্তাল আন্দোলন স্বাধীনতার পরে আর কোথাও দেখা যায় নি। তার প্রভাব স্পষ্ট। ইতিহাস তৈরী করলো এই আন্দোলন।
‘সোদপুর প্রতিবাদী নাগরিক মঞ্চের’ পক্ষ থেকে সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে এক বিশাল প্রতিবাদী জনসভার একটি প্রস্তাব ওঠে যে সোদপুর ট্রাফিক মোড়ের নাম পাল্টে নাম রাখা হোক সোদপুর ‘তিলোত্তমা মোড়।’ উপস্থিত জন সমুদ্র থেকে হাত তুলে সেই প্রস্তাব সমর্থন করা হয়। এর পরেই নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে ট্রাফিক মোড়ে একটি অস্থায়ী প্ল্যাকার্ড লাগানো হয় -‘তিলোত্তমা মোড়’ নাম দিয়ে।
এবার ওই নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছে, আপনারা যারা শ্যামবাজার, বারাকপুর বা মধ্যমগ্রামের দিক থেকে অটো, বাস বা অন্য কোনো গাড়ি করে আসবেন, তাঁরা দয়া করে বলুন -‘তিলোত্তমা মোড়ে’ যাবো, ট্রাফিক মোড় আর বলবেন না। ‘তিলোত্তমা মোড়’ যদি বুঝতে না পারে তখন বোঝানোর জন্য ট্রাফিক মোড় বলবেন। প্রথম প্রথম অসুবিধা হলেও এভাবেই সকলের কাছে পরিচিত হয়ে যাবে ‘তিলোত্তমা মোড়’ নামটি।
ব্যাস এর পরেই ‘তিলোত্তমা’ বাংলার ভৌগোলিক ইতিহাসে নিজের স্থান করে নেয়। প্রতিবাদীদের কাছে নানা নামে পরিচিত ওই তরুণী চিকিৎসক। তার মাঝেই বদলানো হল নির্যাতিতার বাড়ির এলাকায় নাম। সোদপুর ট্রাফিক মোড়ের নাম পাল্টে রাখা হল ‘তিলোত্তমা মোড়’। এখন গুগ্ল ম্যাপ খুললেই ‘তিলোত্তমা মোড়’ লিখলেই লোকেশনে দেখাচ্ছে বিটি রোডের উপরের সেই জায়গা। যেখান থেকে কিছুটা দূরেই নির্যাতিতার বাড়ি। এছাড়াও শুরু হয়েছে স্থাননাম পরিবর্তনের হিড়িক। এটাই হয়তো বাঙালির ভাবাবেগ। এর আগে উত্তরপাড়ার ‘গৌরী বাস স্ট্যান্ডের’ নামকরণ করা হয়েছে ‘তিলোত্তমা চত্বর’। পাশাপাশি, অশোকনগর চৌরঙ্গী এলাকার নামকরণ বদলে হয়েছে ‘তিলোত্তমা চত্বর’। এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি নৈহাটিতে এম প্রতিবাদী মিছিলে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। তাদের হাতে বেদম মার খেয়েছে মহিলা থেকে বৃদ্ধ অনেকেই। অভিযোগ হামলাকারীরা ছিল শাসকদলের দুষ্কৃতী। এবার সেই চত্তরের নাম হয়ে উঠতে চলেছে তিলোত্তমা চত্বর। গুগল ম্যাপেও এই নামেই নৈহাটিতে দেখা যাচ্ছে ওই স্থানকে। এর ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই আন্দোলনের ঝাঁঝ বেড়েছে। মধ্যবিত্ত বাঙালির একটা জাতীয় আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে এই ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ আন্দোলন।