বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সন্দীপকে এই মুহূর্তে নিজেদের হেফাজতে চাইল না সিবিআই। মঙ্গলবার করা হল জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন। সূত্রের খবর, এদিন শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী নিজের সওয়ালে স্পষ্টতই জানান, আমরা বাকি ৭ দিনের সিবিআই হেফাজতের জন্য পরবর্তীতে আবেদন করব।

তাঁর যুক্তি, ইতিমধ্যেই ডিজিটাল এভিডেন্স ক্লোনিং করার আবেদন করা হয়েছে। সেটা সময়সাপেক্ষ। তাই সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেলে রাখা হোক। তাঁর দাবি, এই রিপোর্ট এলেই আবার হেফাজতে চাওয়া হবে। এই আর্জিতে মান্যতা দিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ-সহ ৪ জনকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। আদালত সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হবে ৪ জনকে।

এদিকে আইনি বিশেষজ্ঞরা এবং আইনজীবীরাও জানান, ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা মেনেই এভাবে আবেদন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে বাকি ৭ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেই রিপোর্ট এলেই আবার হেফাজতের জন্য আবেদন করা হবে। কিন্তু এভাবে কী ভেঙে ভেঙে অর্থাৎ দিন বদলে বদলে হেফাজতে নেওয়া সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ১৮৭ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী তদন্তকারী সংস্থাকে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে ১৪ + ৬০ দিনের হিসাবে হেফাজতে নেওয়া যেতে পারে।
এদিন শুনানি চলাকালীন আদালতে বেশ কিছু বিস্ফোরক দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তার দাবি, জেরায় কন্ট্রাক্ট-এর গরমিলের বিষয় পরিষ্কার করছেন না সন্দীপ। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, তদন্তে প্রচুর নথি মিলেছে। আমরা আরও কিছু লোকের যোগ পাচ্ছি যারা সন্দীপের সঙ্গে যুক্ত। মোবাইল, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই আরও কিছু সময় প্রয়োজন। যেটা লিঙ্ক করবে অভিযুক্তদের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে সাময়িক জেল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হচ্ছে বলে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে। এরপর আরও নথি এলে ও ডিজিটাল এভিডেন্স-এর রিপোর্ট এলে আবার আদালতে আবেদন করে সিবিআই হেফাজতের আবেদন করা হবে। যদিও জেল হেফাজতের নির্দেশ এলেও তার মেয়াদ যাতে কমানো হয় এদিন সেই আর্জি বারবার করতে দেখা যায় সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *