বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে যে কোটা বিরোধী আন্দোলনের চাপে পরে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে, সেই আন্দোলনের রাশ চলে গেছে পাকিস্তানপন্থীদের হাতে।তার জন্যই বেশ কয়েকদিন ধরেই তৈরী হয়েছিল বিতর্ক।

 

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেই ওই দেশের পাকিস্তানপন্থী একদল মানুষ রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত ও কাজী নজরুলকে জাতীয় কবি হিসাবে মানতে চান নি। সেই বিষয় নিয়েই চলেছিল প্রচুর বিতর্ক। এবার অন্তরবর্তী সরকার তাদের মতামত স্পষ্ট করলেন। বাংলাদেশের অন্দরেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ইসলামী কট্টরপন্থীরা। তারা দাবি তুলেছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বদলের। রবীন্দ্রনাথের গান পরিত্যাগ করে অন্য কোনও গানকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত করার দাবি করা হয়। তবে তাদের এই দাবি যে মানা হবে না, তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হল অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে। এই মুহূর্তে বিতর্ক বন্ধ হলেও অদূর ভবিষ্যতে যে আবার বিতর্ক তৈরী হবে তা স্পষ্ট। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে একটা হিন্দু বিরোধী ও ভারত বিরোধী চোরা স্রোত বইছে।

তবে এটাও ঠিক জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রচুর মানুষ পথে নেমেছে। ইতিমধ্যে সমাজ মাধ্যমে এই নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে প্রচুর লেখা হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মীয় বিষয়ক পরামর্শদাতা খালিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা নেই”। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে অন্তর্বর্তী সরকার এমন কোনও পদক্ষোপ করবে না যা বিতর্ক তৈরি করতে পারে। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বাংলাদেশের জামাত-ই-ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা গুলাম আজমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমন আজমি দাবি করেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও সংবিধান বদল করার। তিনি বলেছিলেন, “বর্তমানে আমরা যে জাতীয় সঙ্গীত শুনি, তা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থী।” সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। তবে ভবিষ্যতে আবার হয়তো একটা আন্দোলনে নামতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *