বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই ভারতের পর্যটন শিল্পের একটা বড়ো অংশ আসে বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু সেই জুলাইয়ের শুরু থেকেই বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের কারণে ব্যাপক মার খাচ্ছে ভারতের হোটেল ব্যবসা।
পর্যটন দপ্তর সূত্রের খবর ভারতের বিদেশি পর্যটকের ২৩ শতাংশ বাংলাদেশ থেকে আসে। চিকিৎসার প্রয়োজন তো আছেই, এছাড়া, দুর্গাপুজোর আগে বা বিয়ের কেনাকাটা করতে এবং বেড়ানোর জন্য প্রতি বথর প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশি পর্যটকরা আসেন ভারতে। ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের বহু মানুষের আত্মীয়স্বজনও থাকেন। তাঁরাও ভারতে আসেন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। তবে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার কারণে এই বাংলাদেশি পর্যটকদের অধিকাংশই উধাও হয়ে গিয়েছে। ফলে মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ীদের। বিশেষ করে কলকাতার বিশেষ কিছু অঞ্চলের হোটেল ব্যবসা টিকে আছে বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য।
চিকিৎসার প্রয়োজন তো আছেই, এছাড়া, দুর্গাপুজোর আগে বা বিয়ের কেনাকাটা করতে এবং বেড়ানোর জন্য প্রতি বথর প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশি পর্যটকরা আসেন ভারতে। ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের বহু মানুষের আত্মীয়স্বজনও থাকেন। তাঁরাও ভারতে আসেন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। তবে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার কারণে এই বাংলাদেশি পর্যটকদের অধিকাংশই উধাও হয়ে গিয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে, ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এতে সংকট আরও বেড়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে ব্যাঘাত ঘটেছিল বিমান চলাচলের। চিকিৎসার উদ্দেশ্য ছাড়া বাংলাদেশিদের সমস্ত ভিসা বাতিল করা হয়। বিমান চলাচল ফের শুরু হয়েছে। তবে, বিমানের ‘লোড ফ্যাক্টর’ অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। অর্থাৎ, বিমান চললেও লোক হচ্ছে না। তার মানে শুধু হোটেল ব্যবসা নয়, বিমান যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। সূত্র মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে যান, তাদের ৪০-৪৫ শতাংশই ভারতে পাড়ি দেন। এর ৮০ শতাংশর বেশি যান চিকিৎসার জন্য। ১৫ শতাংশ যান কেনাকাটা করতে, ৫ শতাংশ যান অবকাশ কাটাতে। কলকাতা হল বাংলাদেশিদের পছন্দের কেনাকাটার জায়গা। কিন্তু এই মুহূর্তে খুবই সংকটে পর্যটন ব্যবসা।