বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। স্বাভাবিক কারণেই তাঁর বক্তব্যর একটা গুরুত্ব আছে। আর জি কর মতো একরি সরকারি হসপিটালে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরে পুলিশমন্ত্রী বা স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি দায় এড়াতে পারেন? স্বাভাবিক কারণেই এই প্রশ্ন নাগরিক মহলের।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার আদালত রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না রেখে CBI কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাভাবিক কারণেই কিছুটা ব্যাকফুটে শাসকদল। কোর্ট মনিটারিং সিবিআই-এর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য। তথ্য প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা থাকতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিলোত্তমা’ ধর্ষণ খুনে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী, কৌস্তভ বাগচীরা। শুভেন্দু বলেন, “কর্তারা ওই পরিবারকে প্রলোভন দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে বা অনেক কিছু দেওয়ার বিনিময়ে প্রকৃত নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে যাতে তদন্ত না হয়, আর প্রকৃত দোষীরা যাতে আড়াল হয়, তার চেষ্টা হয়েছিল। সেই কারণে পরিবার গতকাল আসেনি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসাবে আর কৌস্তভ বাগচী-সহ কয়েকজন আমরা গিয়েছিলাম।” এদিকে ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে কলকাতা সহ সারা দেশ।
শুভেন্দু বলেন, অমরা মনে করি না সব সমস্যার সমাধান CBI এর হাতে আছে। অনেক সমস্যার সমাধান ওরা করতে পারে নি। কিন্তু এই বিষয়টা আমরা শেষ দেখে ছাড়বো। তিনি বলেন,”আমি এই তদন্তের আসল মাথা পর্যন্ত যেতে চাই। শুধুমাত্র গণধর্ষণ যাঁরা করেছেন, তাঁরা নয়, গণধর্ষণ-খন যাঁরা করেছেন, তাঁদের যাঁরা রক্ষক, তাঁদেরকেও যাতে শাস্তি দেওয়া হয়, সেই বিষয়টা আমার পিটিশনে ছিল।”আর জি কর-কাণ্ডে আগেই দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার আদালতে যান তিলোত্তমার বাবা-মা। সব মিলিয়ে সবদিক দিয়ে সরকারকে চেপে ধরা হয়েছে। তিলোত্তমার বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার বিষয়ে কথাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো সহানুভূতি দেখাতে যাননি। গিয়েছিলেন ম্যানেজ করতে। পরিবারকে আমি ধন্যবাদ জানাব। মিঠু মজুমদার, নির্মল ঘোষ, সৌগত রায়, পুলিশের অলোক রাজোরিয়া, বিনীত গোয়েল ঘিরে বসেছিল ওর পরিবারকে। যাতে পরিবার কোনওভাবে মুখ খুলতে না পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবার এই কেসে পার্টি হয়েছে।” এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কি হয়!