বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত গজল সম্রাট পঙ্কজ উধাস। মাত্র ৭২ বছর বয়সে চিরঘুমের দেশে প্রখ্যাত এই সঙ্গীত শিল্পী। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের তরফে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। আজ সোমবার দুপুরে সুরলোকে বিদায় নিলেন পঙ্কজ উধাস। পরিবারের তরফ ইতিমধ্যে সঙ্গীত শিল্পীর প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

মেয়ে নায়াব উধাস সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে জানিয়েছেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি পদ্মশ্রী শিল্পী পঙ্কজ উধাস (Pankaj Udhas) প্রয়াত হয়েছেন। আর এই ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীত জগতে। শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। পঙ্কজ উধাসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

বলে রাখা প্রয়োজন, ১৯৫১ সালের ১৭ মে গুজরাতের যেতপুর এলাকায় জন্ম হয় পঙ্কজ উধাসের (Pankaj Udhas) । মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই সঙ্গীতের সঙ্গে প্রেম-আবেগ। আর তখন থেকে গানের চর্চা শুরু। বড় ভাই গজল গাইতেন। তাঁর সঙ্গে থেকেই গাজল শেখা।

ছোট থেকেই একের পর এক স্টেজ শো’তে গান গাইতেন পঙ্কজ উধাস। আর সেই আওয়াজ অল্প দিনেই গেঁথে যায় দেশেবাসীর মনে। সেখান থেকে মুম্বইতে গানের সুযোগ পাওয়া। একের পর এক অনুষ্ঠান, অ্যালবাম, ছবির গানে মুগ্ধ করে ছিলেন পঙ্কজ উধাস।

তাঁর গানে মুগ্ধ হন আট থেকে ৮০ এর প্রত্যেক মানুষের। পদ্মশ্রী শিল্পী পঙ্কজ উধাসের গাওয়া একের পর এক গান যেমন ‘চান্দি জ্যায়সা রঙ্গ’, ‘না কাজ়রে কি ধার’, ‘দিওয়ারোঁ সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’ রীতিমত হিট।

হিট শিল্পীর একাধিক অ্যালবম। যার মধ্যে রয়েছে ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফরের মতো অ্যালবম। শুধু তাই নয়, ভারত-চিন যুদ্ধের সময় পঙ্কজ উধাসের গাওয়া গান খুবই নজর কেড়েছিল। আর তা ছিল ১৯৬২ সালে। প্রকাশ্যে খবর অনুযায়ী, ভারত-চিন যুদ্ধের সময়, একটি স্টেজ অনুষ্ঠান ছিল পঙ্কজ উধাসের।

গেয়েছিলেন ‘অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লগন’ গানটি। তাঁর কণ্ঠে এই গান স্রোতাদের পাগল করে তুলেছিল। শুধু তাই নয়, এই গান শিল্পীকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল। দেশ-বিদেশের একাধিক সম্মানে ভুষিত হন। এমনকি ২০০৬ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।

সম্প্রতি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন পদ্মশ্রী পঙ্কজ উধাস। গত কয়েকমাস ধরে চলে চিকিৎসা। সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হয়। ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। আজ সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সুরের সম্রাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *