বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংস আগামী মাসেই নামবে আইপিএল খেতাব ধরে রাখার লক্ষ্যে। জল্পনা চলছে, চলতি বছরই ক্রিকেটার ধোনিকে শেষবারের জন্য দেখা যাবে।
ফলে গত বছরের মতো এবারও ধোনির জন্য দেশের বিভিন্ন স্টেডিয়ামের গ্যালারির রং যে হলুদ থাকবে, ক্রিকেটপ্রেমীরা ধোনি লেখা জার্সি পরে মাঠে আসবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মহেন্দ্র সিং ধোনি ইতিমধ্যেই আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। রাঁচিতে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট দেখতে হাজির না হলেও তার আগে জেএসসিএ স্টেডিয়ামে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন, ফিট রাখতে টেনিসও খেলেছেন। জানা যাচ্ছে, চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে যোগদানের আগে ফের তিনি রাঁচিতে অনুশীলন করবেন।
এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির রেলের চাকরির নিয়োগপত্র। আর ধোনির এই চাকরির সঙ্গে যোগ রয়েছে বাংলারও। ২০০১ সালে খড়গপুরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রাভেলিং টিকিট এগজামিনার পদে যোগ দেন ধোনি। টিটিই-র চাকরি পেয়েছিলেন স্পোর্টস কোটায়।
১৯৯০-২০০০ মরশুমে ধোনির প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। খড়গপুরে থাকাকালীন তিনি স্থানীয় টুর্নামেন্টে খেপ খেলতেন। তাঁর বন্ধুরাও অনেকেই এখনও রয়েছেন খড়গপুরে। ২০০৪ সাল সালে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে অবধি ধোনি খড়গপুরেই ছিলেন। তবে ক্রিকেটে ফোকাস করতে রেলের চাকরি ছেড়ে দেন।
গত বছরের আইপিএলে ইডেনে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সি পরে মাঠে গিয়েছিলেন সিংগভাগ দর্শক। অনেকে কেকেআরের জার্সির উপর ধোনির নাম লেখা জার্সি পরেছিলেন স্রেফ সিএসকে অধিনায়কের জন্য। কেন না, অনেকেরই ধারণা ছিল ২০২৩-এর পর ধোনি আর খেলবেন না।
কিন্তু আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ধোনি জানিয়ে দেন, অবসর নেওয়ার এটাই সেরা সময়। কিন্তু দর্শকদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন তাতে আরও একটা বছর খেলে তিনি দর্শকদের ভালোবাসার কিছুটা প্রতিদান দিতে চান। সে কারণেই হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর ফিট হয়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত ধোনি।
গত বছরই ইডেনে ধোনির কথায় উঠে এসেছিল খড়গপুরের কথা। তিনি বলেছিলেন, কলকাতায় অনেক ম্যাচ খেলেছি। প্রচুর খেলেছি তা বলব না। কারণ, অনূর্ধর্ধ্ব ১৬ বা অনূর্ধ্ব ১৯ খেলিনি। তবে এখান থেকে ২ ঘণ্টা দূরে খড়গপুরে ছিল আমার কর্মস্থল। সেখানে প্রচুর ক্রিকেট, ফুটবল খেলেছি। সে কারণেই এই ভালোবাসা পাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে।