বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলায় শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারিতে বাধা নেই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সন্দেশকালি মামলা শাহজাহান শেখকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন পাবলিক নোটিস দিয়ে এই মামলায় তাঁকে যুক্ত করতে পারে। রাজ্যপুলিশ চাইলেই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন শাহজাহান শেখের গ্রেফতারি আটকে রয়েছে আদালতের জন্য। আদালতের স্থগিতাদেশের কারণেই শাহজাহা শেখকে গ্রেফতার করতে পারছে না রাজ্য পুলিশ। অভিষেকের সেই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
এবার কি তবে গ্রেফতার হবে শাহজাহান শেখ। এই নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ আদালতেরক এই নির্দেশের পর সন্দেশখালি বাঘকে গ্রেফতার করতে রাজ্য পুলিশের আর কোনও বাধা থাকল না। এদিকে সরবেড়িয়ায় সোমবার দেখা গেল শাহজাহান শেখের সমর্থনে পোস্টার। ইডি সিবিআই দিয়ে সন্দেশখালিন জননেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। পোস্টারের নীচে লেখা হয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে দলের সঙ্গে এই পোস্টারের কোনও সম্পর্ক নেই। কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই কাজ করতে পারে।
গত ৫৩ দিন ধরে নিখোঁজ সন্দেশখালির বাঘ শাহজাহান শেখ। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সরবেড়িয়ায় শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারীকা। তাঁদের মারধর করেছিলেন শাহজাহানের অনুগামীরা। তারপর থেকে বেপাত্তা শাহজাহান শেখ। ইডি ইতিমধ্যেই তাঁকে তিনবার সমন পাঠিয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়েছেন শাহজাহান শেখ। আদালতে আইনজীবী মারফৎ জামিেনর আর্জি করেছিলেন তিনি। সেই আর্জিও খারিজ হয়ে গিয়েছে।
সন্দেশখালি ইস্যুতে স্বতোঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ছিল বেঞ্চ। সেই মামলাকে অজুহাত করেই শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা শাহজাহান শেখের গ্রেফতারির দায় এড়াতে শুরু করেছিলেন। এবার আদালত সেই সুযোগ এক প্রকার কেড়ে নিল বলা চলে। শাহজাহান শেখকে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ মার্চ।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে আদালতের এই নির্দেশের পরেও শাহজাহান শেখকে কি গ্রেফতার করবে পুলিশ। আগামী ৪ মার্চের আগে কি গ্রেফতার হবে শাহজাহান শেখ। আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে আদালত কখনওই শাহজাহান শেখের গ্রেফতারিতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। এরকম কোনও পর্যবেক্ষণ এর আগে আদালত করেনি। এদিকে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে কিন্তু রাজ্য পুলিশ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।