বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলার পাশাপাশি এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেও গতি আনছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মামলার তদন্তে তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে তলব করা হল। আজ সোমবারই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এর আগে সিবিআই’য়ের মামলায় দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়ক। সম্প্রতি জামিন পান। এরপরেই ফের ইডির তলব। তবে এদিন জীবন কৃষ্ণ হাজিরা দেন কিনা সেদিকেই নজর সবার। সূত্রের খবর, নবম-দশমে নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে তলব করা হয়েছে (Recruitment Scam) ।

হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তে ইতিমধ্যে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপুল আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি তৃণমূল বিধায়কের মাধ্যমে বেশ কিছুক্ষণের চাকরি হয়েছিল বলেও তদন্তে উঠে এসেছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

আর সে বিষয়ে জেরা করতেই আজ সোমবার জীবন কৃষ্ণ সাহাকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। বলে রাখা প্রয়োজন, জীবন কৃষ্ণ সাহার মুর্শিদাবাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রায় ৬৭ ঘন্টা ধরে তল্লাশি অভিযান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তৃণমূল বিধায়ক তাঁর ফোন পাশের পুকুরের ছুঁড়ে ফেলে দেন। দুটি ফোনই ফেলে দেন। যা নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ পড়ে যায়। ফোন খুঁজতে পুকুরে নামানো হয় ডুবুরিদের। শুধু তাই নয়, পুরো জল ফেলে দিয়ে খোঁজা হয় দুটি ফোন।

দীর্ঘ তল্লাশি শেষে বিধায়কের দুটি ফোন পুকুর থেকে উদ্ধার করে সিবিআই। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথিও জীবনের বাড়ি থেকে পান তদন্তকারীরা। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রায় এক বছর জেলেই কাটান। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু এর মধ্যেই আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার নজরে জীবন কৃষ্ণ।

যদিও তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ইডি এতদিন কি করছিল। সুপ্রিম কোর্ট জামিন হয়েছে। সেটা না পদনন্দ ওদের। আর সেই কারণেই হেনস্তা করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। যদিও হেনস্তার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, জামিন পেলেও বিধায়ক এখনও নিরদষ প্রমাণ হয়নি। তদন্তের স্বার্থে ডাকা হতেই পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *