বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: অতীতে বহুবার আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন অখিল গিরি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কাউকেই তিনি ছাড়েননি। এজন্য রাজনৈতিক মহলে তাকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল। তবু তৃণমূল কংগ্রেস তার উপর আস্থা রেখেছিলেন। এবার আর রেওয়াত করা হল না। মন্ত্রী অখিল গিরিকে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বলা হল।
বন দফতরের আধিকারিককে তীব্র আক্রমণ করেছেন অখিল গিরি৷ তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অখিল গিরি নিজের ক্ষমতা সম্পর্কেও জাহিরের হুমকি দিয়েছেন। প্রবল আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন অখিল গিরি। আর তারপরেই সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অখিল গিরিকে কারমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। দলের নেতা সুব্রত বক্সী অখিল গিরিকে ফোন করেন। রাতেই ই মেইল মারফত অখিল গিরি ইস্তফা দিয়েছেন। আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে লিখিত ইস্তফা দেবেন কারামন্ত্রী।
অতীতে একাধিকবার অখিল গিরির জন্য দল সমস্যায় পড়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরে এক কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীর মুর্মুকে নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করেছিলেন অখিল গিরি। রাজনৈতিক মহলে ঝড় ওঠে। পরবর্তী কালে চাপের মুখে ভুল স্বীকার করেছিলেন অখিল। ক্ষমাও চেয়েছিলেন তার বক্তব্যের জন্য। যদিও সেই বিতর্ক দীর্ঘ দিন চলেছিল।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক সুখকর নয়। রাজ্যপাল গত পুজোর সময় কুণাল ঘোষের পাড়ায় গিয়েছিলেন। সেখানকার দুর্গাপুজোর মণ্ডপে অঞ্জলি দেন। সেই বিষয়েও মুখ খুলেছিলেন অখিল গিরি৷ রাজ্যপাল চাপে পড়েছেন? কেন কুণাল ঘোষের পাড়ায় রাজ্যপাল গেলেন? তাই নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন অখিল গিরি৷
ভোটের প্রচারের সময় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও লাগামছাড়া আক্রমণ করেছেন অখিল গিরি। সময় দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন বুঝে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের কাছে সব তথ্য আছে। প্রকাশ্য জনসভা থেকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন অখিল গিরি।
অখিল গিরির একাধিক বার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল দলের অন্দরে। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস তার বক্তব্যে সমালোচনার মুখে পড়ে। কিন্তু কোনও বারই দীর্ঘদিনের এই রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল পদক্ষেপ করেনি। কিন্তু এবার রীতিমতো কড়া পদক্ষেপ করা হল। মন্ত্রিসভা থেকে সরাসরি পদত্যাগ করতে বলা হল অখিল গিরিকে।