বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:দেখতে দেখতে আবারও এসে গেল দুর্গাপুজো। কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর বাজারও অনেকেই শুরু করে দিয়েছেন। শহরের বড় দুর্গাপুজোর ক্লাবগুলিতে তো শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে বললে ভুল হবে না। আনুষ্ঠানিক ভাবে খুঁটি পুজোও সকলে সেরে ফেলেছেন।
এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লাবগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। দুর্গাপুজোর নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন পুজো কমিটি গুলিকে। সেই সঙ্গে ৮৫ হাজার টাকা করে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে উপরি পাওনা বিদ্যুতের বিলে ছাড়। পুলিশকেও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন দুর্গাপুজোর নিরাপত্তা নিয়ে।
এদিকে দুর্গাপুজো যত এগিয়ে আসছে তত কুমোরটুলিতে ভিড় বাড়ছে। আগে কেবল কুমোর পাড়া বলেই কুমোর টুলির পরিচিতি ছিল। পুজোর সময় যেখানে মূর্তি কিনতে ছুটতেন সকলে। মাঝে মধ্যে বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনাও হতো। কিন্তু গত কয়েকবছরে কুমোরটুলি হয়ে উঠেছে ভিডি, রিলস তৈরির অন্যতম ডেস্টিনেশন। সারাবছরই এখানে ভিড় থাকে। দুর্গাপুজোর আগে যে সেই ভিড় দ্বিগুণ হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এখন কুমোরটুলিতে দম ফেলার ফুরসত নেই মৃত শিল্পীদের। একের পর এক অর্ডার শেষ করতে হবে। তার উপরে বাধ সেধেছে শ্রাবণের বর্ষণ। কিন্তু উপায় নেই অর্ডার শেষ করতে দিনরাত এক করে কাজ করছেন মিৎশিল্পীরা। তার মধ্যে ক্যামেরা হাতে যেখানে সেখানে ঢুকে পড়ছেন অনেকেই। তাতে কাজের প্রবল সমস্যা হচ্ছে। গত কয়েকবছর ধরেই ভিডিও রিলস তৈরি নিয়ে কুমোরটুলির শিল্পীরা এক কথায় বিরক্তি হয়ে গিয়েছেন।
এবার একাট্টা হয়েই মৃৎশিল্পীদের সংগঠন কড়া হয়েছেন। মহালয়ার দিন কুমোরটুলিতে কেউ ক্যামেরা হাতে প্রবেশ করতে পারবেন না এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংস্কৃতি সমিতি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগে থেকেই সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ সখের চিত্রগ্রাহক বা ভিডিগ্রাহক বা রিলস তৈরি করতে থেকে পারবনে না।
মহায়লয়া এসে যাওয়া মানে দুর্গাপুজো এসে যাওয়া। সেদিন ভীষণ ভিড় থাকে কুমোর টুলিতে। একের পর এক প্রতিমা পাড়ি দেয় পুজো মণ্ডপগুলিতে। এই ভিড়ের মধ্যে ছবি তোলা বা ভিডিও বা রিলস করা নিয়ে প্রবল বিশৃঙ্খলতা তৈরি হয় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে ভিড়ের মধ্যে সেকারণে আগে থেকেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এমনিকে কুমোরটুলিতে ছবি এবং ভিভিও করতে গেলে এখন আগে থেকে টিকিট কাটতে হয়। ৫০ টাকা থেকে টিকিট শুরু হয়। ৫০ টাকা দিয়ে একদিন ছবি তোলা বা ভিডিও করা যায় আর ১০০ টাকার টিকিট কাটলে তিনমাস ছবি বা ভিডিও করা যায়। কিন্তু কেউ যদি ॥১০০ টাকার টিকিট নিয়ে সেদিন হাজির হন তিনিও ঢুকতে পারবেন না কুমোরটুলিতে। অর্থাৎ মহালয়ার দিন কুমোরটুলিতে কোনও টিকিটই গ্রাহ্য হবে না।