বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ক্রিকেট মানে তো এক বলের খেলা। আর ভালো ক্রিকেট মানে সাপ লুডো খেলা – শুধুই উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠা! ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ভারত।
ওস্তাদের মার শেষ রাতে হলেও ঠান্ডা মানসিকতায় ব্যাট করছিলেন। জাহাজ যখন নড়বড়ে ইনিংস অ্যাঙ্কর করতেই হত। ৪৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপরই বিধ্বংসী মেজাজে বিরাট কোহলি। শেষ অবধি ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয় বিরাটকেই। পুরস্কার হাতেই ঘোষণা। তবে এটা যে আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন, পরিষ্কার করে দিলেন।
বিরাট থেকে গেলেন বিরাট হয়েই। ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। এরপরই ঘোষণা করে দিলেন, এই ফরম্যাটে দেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন। গডস প্ল্যান বেবি, স্লোগানও সার্থক। করেছেন ব্যাট হাতে। পুরো বিশ্বকাপে রানের খরা চলছিল। ফাইনালে কোহলির বিরাট ইনিংসেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে টি-টোয়েন্টি বড় টার্গেট দিয়েছিল ভারত। এরপর ব্যাটন ছিল বোলারদের হাতে। ভারত দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল। আর বিরাট কোহলির প্রথম। পুরো টুর্নামেন্টে সমালোচনার শিকার বিরাট কোহলিই ফাইনালে সেরার পুরস্কার জিতলেন। ম্যাচের সেরার পুরস্কার হাতে বিরাট কোহলি বলেন, ‘দেশের হয়ে এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বা বলা ভালো দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটা আমার শেষ ম্যাচ।’ সঞ্চালক দ্রুতই তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কিন্তু একটা বড় ঘোষণা করে দিলেন। বিরাট কোহলি বলেন, ‘এটা আমি আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। আজ হারলেও বলতাম, এটাই দেশের জার্সিতে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।’