বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সোদপুর, বেলঘরিয়া ফ্লাই ওভারের নিচে হকারদের অস্থায়ী গুমটির সমস্যা বাম আমল থেকেই। কিন্তু একথা ঠিক, তখন তবুও কোথাও একটা নিয়ন্ত্রণ ছিল।

কিন্তু গত ১০/১২ বছরে ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নিয়মে হকার গুমটি বেড়েই চলেছে সোদপুর ট্রেফিক মোড় থেকে স্টেশন পর্যন্ত। গুমটি দোকানের মাথায় থাকা প্লাস্টিকের ছাউনির এক প্রান্ত নীচে বাঁধা। আর এক প্রান্ত উঠে গিয়েছে সেতুর রেলিং পর্যন্ত। কোথাও আবার দিনের পর দিন ‘চুরি’ হয়ে চলেছে ফুটপাত। সেখানেই গজিয়ে ওঠা দোকান ‘প্রভাবশালীদের’ মদতে ভাড়ায় খাটাচ্ছেন কেউ কেউ। এখানে নেই কোনো নিয়ম। এক ভয়ঙ্কর অরাজক পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ‘বুলডোজার’ অপারেশন চলেছে কোলকাতার ফুটপাথে। আর সোদপুর আছে সোদপুরেই। এবার সাহস করে মানুষ প্রশ্ন করা শুরু করেছে, ‘পানিহাটি পুরসভা থেকে মেরেকেটে পাঁচশো মিটারের মধ্যে এই বেহাল অবস্থা কি আদৌ পাল্টাবে?’ পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে, খোদ পুরপ্রধান মলয় রায় মেনে নিচ্ছেন নিয়ম ভাঙার কথা। শুধু নিয়ম ভাঙ্গা বললে অনেক হাল্কা করে বলা হবে, আসলে এখানে বেনিয়মটাই আসল নিয়ম।

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যদি একবার সোদপুর ট্রাফিক মোড় থেকে স্টেশন পর্যন্ত হেঁটে যান, তাহলে অবশ্যই তাঁর মনে হবে সোদপুরে (পানিহাটি) নেই কোনো প্রশাসন।
‘সোদপুর স্টেশন রোড মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র দাস ও স্নেহাশিস ঘোষচৌধুরীর কথায়, ‘‘যেমন তেমন করে গজিয়ে ওঠা গুমটি দোকানগুলির জন্য আমাদের স্থায়ী দোকানগুলি দেখা যায় না। অথচ, ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে সব রকম রাজস্ব আমরা সরকারকে দিয়ে যাই।’’ বারাকপুর ডিভিশনের পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘অস্থায়ী এই সব দোকানের জন্য বোঝারই উপায় নেই, সেতুর দেওয়ালে কোথায়, কী ক্ষতি হচ্ছে।’’ ফলে যেকোনো দিন সোদপুর ফ্লাই ওভারে কোনো দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। তখন আমাদের জন্য থাকবে শুধুই কান্নার রোল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *