বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: যত্র-তত্র হকার বসিয়ে যারা পকেট ভরাচ্ছেন, তাদের বলছি, ডাল ভাত খেয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। বেশি লাভ করবেন না। আমরা যেটা বলতে চাই, সেটা হল একটা সিস্টেমের মধ্যে চলতে।
আমি একজনকে সিস্টেম বানাতে বলেছি। রাজীব কুমারকে একটি সিস্টেম বানাতে বলেছি। সেটা বানিয়ে আমাকে দেবে। দিঘা, মুকুটমণিপুরে হকার তুলে দেওয়া হয়েছে। আর যেন নতুন করে না বসে, সেটা জেলাশাসককে দেখে নিতে হবে। কোনো নেতা যদি বাধা দেয় তাকেও গ্রেফতার করুন যে দলেরই হোক। এমন কি পুলিশ যদি আপত্তি করে সেই পুলিশকেও গ্রেফতার করুন। হকারি একটা ব্যবসা। তাদেরও সংসার আছে। কিন্তু রাজ্যের আইডেন্টিটি নষ্ট করে নয়। রাস্তা ফুটপাতই যদি দখল হয়ে যায়, দুর্ঘটনা বড়ে। যে যাঁর মতো প্লাস্টিক জমা করছে, গোডাউন বানিয়ে দিচ্ছে। হকার কমিটির যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের দেখা উচিত ছিল। স্টলের পাশে গোডাউন বানানোর অধিকার নেই। সে যত বড়ই নেতা হোন, কাউকে ছেড়ে কথা বলছি না। আমরা প্রয়োজনে আমাদের নেতাদেরও গ্রেফতার করেছি।
হকারদের সুরক্ষার জন্য আমরা আগেই আইন করেছি। আইনে হকার নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যে ১২৮টি আর্বান লোকাল বডিতে টাউন ভেন্ডিং কমিটি করা হয়েছে। হকারদের নাম রেজিস্ট্রেশন, রেসট্রিক্টেড জোন ঠিক করা হয়েছে, ঠিক করা হকারদের পরিচয়পত্র ইস্যু করা, সবই এই কমিটি দেখে। হোয়াই দে টেকিং টু মাচ টাইম? KMC এলাকায় নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৬১ হাজারের বেশিহকার আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ৫৯ হাজার সিলেক্টেড। গড়িয়াহাটে তো হাঁটার জায়গাই নেই। চারপাশে স্ট্ল দেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিক দেবেন না। স্টলের পিছনে ফায়ার ফ্রি নীল সাদা স্ক্রিন। হকার বাজার দেখতে সুন্দর করতে হবে। নিউ মার্কেট ঘিঞ্জি। কর্পোরেশনের গায়েই হকার বসে গিয়েছে। সব মিউনিসিপ্যালিটি একই নিয়মে চলবে। রাস্তা দখলে কাউন্সিলরদের অনেক দোষ রয়েছে। তাঁরা ভাবছেন, রাস্তা দিয়ে দিচ্ছি, টাকা পেয়ে যাচ্ছি, মাসে চাঁদা পেলাম, তেমনটা করলে কিন্তু হবে না। ডাল ভাত তরকারি খেয়ে কি হচ্ছে না? তাতে সন্তুষ্ট থাকা যাচ্ছে না?