বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:অজিত মাইতিকে কি তাহলে দল থেকে ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস? বেড়মজুর এলাকায় বেনজির বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়ছে। অঞ্চল সভাপতি গ্রামের সাধারণ মহিলাদের তাড়া খেয়ে অন্যের বাড়িতে ঢুকে পালিয়ে বেঁচেছেন। ঠিক তখনই তৃণমূল থেকে বার্তা এল, দলের পদে আর নেই অজিত মাইতি।

সন্দেশখালি কাণ্ড শাখা প্রশাখা বিস্তার করে মহিরূহে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রীতিমতো আগ্নেয়গিরির লাভার আকার ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন ঝাঁটা লাঠি বাঁশ নিয়ে গ্রামের মহিলারা রাস্তায় নামছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী, পুলিশের বড়কর্তারাও তাদের থামাতে পারছেন না।

রবিবার আরও বড় ছবি দেখা গেল বেড়মজুর এলাকায়। অজিত মাইতি সেই এলাকার অঞ্চল সভাপতি পদে ছিলেন। তার নেতৃত্বে তৃণমূল দীর্ঘ সময় ধরে সন্ত্রাস চালিয়েছে। মানুষের জমি জায়গা লুট করেছে। মানুষকে ভয় দেখিয়েছে। এই অভিযোগ উঠে আসে। অজিত মাইতিকে রবিবার দুপুরে তাড়া করেন এলাকারই মহিলারা।

প্রাণভয়ে তিনি অন্য একজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। অজিত মাইতি ভিতর থেকে সেই বাড়ির দরজার তালা পর্যন্ত বন্ধ করে দেন। পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। শেখ শাজাহান, সিরাজ অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে থাকেন অজিত। তিনি আর দলের পদে থাকবেন না। সে কথাও সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন।
সেই সময় সন্দেশখালিতেই উপস্থিত রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। মন্ত্রীদের কাছে অজিত মাইতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। পার্থ ভৌমিক পরিষ্কার জানিয়ে দেন, অন্যায় করলে রাগের বহিঃপ্রকাশ হবেই। তাকে বাঁচানোর দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের।

তাহলে কি সাধারণ মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যথাযথ? অজিত মাইতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আসছে, তাকে মেনে নিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব? না কি অজিত মাইতির ঘাড়ে বন্দুক রেখে এই মুহূর্তে তৃণমূল সাধারণ মানুষকে বার্তা দিচ্ছেন? এই প্রশ্ন স্বভাবতই উঠছে রাজনৈতিক মহল থেকে।
অজিত মাইতি পরিষ্কার জানাচ্ছেন, দলের পদে থাকতে চান না। তাহলে সাধারণ মানুষ মনে করবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আজই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করবেন। তবে মন্ত্রীর গলায় সম্পূর্ণ অন্য বক্তব্য ধরা পড়ল। তিনি আর দলের সঙ্গে নেই। পরিষ্কার এই কথা বললেন পার্থ ভৌমিক।

অজিত মাইতি আগে বিজেপি করতেন। তাকে মারধর করে পাঁচ বছর আগে তৃণমূল কংগ্রেসে নিয়ে আসা হয়। বন্ধ বাড়ির দরজার ওপাড় থেকে এমনই দাবি করেছেন তিনি। তারও অভিযোগ শেখ শাজাহানদের দিকে।

তাহলে কি এবার অজিত মাইতির দিকে অভিযোগের আঙুল সরাসরি উঠল? বেড়মজুর এলাকায় সাধারণ মানুষ অজিত মাইতিকে নিজেদের কব্জায় এবার দাবি করছে। পুলিশ কখনও তাদের কথা শুনত না। সে কারণেই মানুষের ক্ষোভ এত বেড়েছে। এমনই দাবি মহিলাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *