বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:: ২০০৪ সালের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি হল না। বরং ২০১৯-এর ফল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল কেরলের সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টকে। এবার কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৭ টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেসের ১৪ টি, আইইউএমএলের দুটি এবং আরএসপির একটি আসন। জোটের অন্যতম দল কেইসি পেয়েছে একটি আসন।

অন্যদিকে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতৃত্ব দেওয়া সিপিআইএম পেয়েছে একটি এবং বিজেপি সেখানে প্রথমবার খাতা খুলেছে।

প্রসঙ্গত ২০১৯-এ কেরলে এলডিএফ পেয়েছিল মাত্র একটি আসন। আর বাকি ১৯ টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট তথা ইউডিএফ। প্রসঙ্গত ২০০৪ সালে কেরলে বামেরা জিতেছিল ১৮ টি আসন। এরপর ২০০৯ সালে তারা চারটি আসন পায়। ২০১৪-র নির্বাচনে পায় আটটি আসন।

এদিকে লোকসভা নির্বাচনের ফল সামনে আসতেই সিপিআইএম রাজ্য দফতর থেকে বলা হয়েছে, কেরলে ব্যাপক পরাজয়ে তারা প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেবে। প্রসঙ্গত যে জোটের ৯৯ জন বিধায়ক রয়েছে, তারা একটি আসন ছাড়া সবকটিতেই হেরেছে। রাজ্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই হার থেকে পরিষ্কার পিনারাই বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ক্ষমতা বিরোধিতার হাওয়া ছিল।

সিপিআইএমের তরফে বলা হয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে এলডিএফ রাজ্যে মাত্র একটি আসন পেয়েছিল। অতীতে এমন উদাহরণ রয়েছে, যেখানে দল একটিও আসন জিততে পারেনি। যে কারণে পুনর্মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের কৌশল নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সিপিআইএমের তরফে বলা হয়েছে এই সংশোধনমূলক পদক্ষেপের কারণে ২০২০-তে এলডিএফ স্থানীয় নির্বাচনে এবং ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে।

সিপিআইএমের তরফে বলা হয়েছে, কেরলের এই লোকসভা নির্বাচনের ফল সাম্প্রদায়িক শক্তির বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সাংগঠমিক এবং আদর্শগত হস্তক্ষেপের গুরুতকে তুলে ধরেছে। দলের তরফে বলা হয়েছে, নির্বাচনের রায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেরল সিপিআইএমের তরফে এবার পালাক্কাদে পরিটব্যুরোর সদস্য এ বিজয় রাঘবন, কোঝিকোড়ে রাজ্যসভার সদস্য এলামারাম করিম এবং ভাদাকারায় কেকে শৈলজার মতো সিনিয়র নেতানেত্রীদের প্রার্থী করা হয়েছিল। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছিল ২০১৯-এর মতো ফল হবে না। কিন্তু ফল প্রকাশের পরে দেখা যায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধী ফ্রন্টের বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেনি। দলের ভিতরের আলোচনা উঠে এসেছে, সেখানে তারা কংগ্রেসের তরফে যে ঝড় বয়েছে, সেরকম আশা করেনি।

এবারের নির্বাচনে রাজ্যে প্রচারের নেতৃত্বা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ফলাফলে উত্তর কেরলের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় দলের সমর্থনে ক্ষয় দেখা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *