বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে সন্দেশখালিেত ১৪৪ ধারা জারি করল পুলিশ প্রশাসন। সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত ১৭টি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। সরবেড়িয়া, আগারহাটি, হাটগাছি, রাজবাড়িতে সহ একাধিক এলাকায় এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

সপ্তম দফার ভোটের দিনেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। রাজবাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের খণ্ডযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী এবং গ্রামবাসীও। তারপরে রাত থেকে এই সব এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সন্দেশখালি নিয়ে প্রথম থেকেই তপ্ত ছিল রাজ্য রাজনীতি। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রথম সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাহজাহান শেখের নাম প্রকাশ্যে আসে। সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় ইডি। তারপর থেকেই সন্দেশখালি রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে চলে আসে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দলবলের অত্যাচারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা।

সেই আন্দোলনের রেশ ধরেই বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র উঠে আসেনি। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্র। তাঁকে সামনে রেখেই সন্দেশখালির ভোট ময়দানে জমি আঁকড়ে ধরে বিজেপি। অবশ্য বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসও। শাসক দলের পক্ষ থেকে ভিডিও প্রকাশ করা হয় বিজেপি নেতার। তাতে বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা যায় সন্দেশখালিতে ভুয়ো ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর সন্দেশখালির রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে বদলে যায়। দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের এই গ্রাম। গতকালও ভোটের শেষ বেলায় তমুল অশান্তি হয়ছে সন্দেশখালিতে। ভোটের আগের দিন তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী ভয় দখিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের মহিলারা। ভোটের ময়দানে মাথা ফেটেছে বিজেপি কর্মীর। তারপরে পুলিশি ধরপাকড়কে কেন্দ্র করে তমুল অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল ভোটের দিন।

রাজবাড়ি এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সেই পরিস্থিতি যাতে বাকি গ্রামগুলিতে ছড়িয়ে না পড়ে সেকারণে সন্দেশখালির ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যাতে নতুন করে কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটে সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভোট পরবর্তী অশান্তি শুরু হয়ে গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *