বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফায় এড়ানো গেল না রক্তপাত। সন্দেশখালি থেকে ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এবার প্রথম দফা থেকে আজ সপ্তম দফা পর্যন্ত একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়। তা হলো, বিরোধী প্রার্থীদের দেখলেই তাঁর পথ আটকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিসেব কষেই এই রণকৌশল তৃণমূলের।

খাস কলকাতায় কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে বিভিন্ন জায়গায় গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। এমনকী তাঁর ছেড়ে আসা বরানগরে বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের বাড়ির অদূরেই গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে তাপসকে।

ডায়মন্ড হারবারও ব্যতিক্রম নয়। ফলতার একাধিক জায়গায় বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি)-র পথ আটকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার থেকে শুরু করে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তকেও একই অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে হয়েছে। বাদ যাননি সিপিআইএমের প্রার্থীরাও।

তবে এই ঘটনা যে রীতিমতো পরিকল্পনা করেই তা বোঝা গিয়েছে। কেশপুরে যেদিন হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই আজও বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের তরফে বিরোধী দলের প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। একই কায়দায় বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে, সেখানে কেন আসবেন বিজেপি প্রার্থীরা? কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটানো হয়নি? কেন আবাস যোজনার বাড়ি মেলেনি? এরকম একাধিক বঞ্চনার কথা।

তৃণমূলের তরফে এই বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের গর্জন বলে দেখানোর চেষ্টা হলেও বাস্তবটা কিন্তু তা নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের সুবিধার্থে এটি আইপ্যাকের পরিকল্পনা। সেইমতো নেতা-কর্মীদের বলা হয়েছে, বিজেপি কর্মীদের দেখলেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে।

বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ বলে মনেই হতো, কিন্তু সব জায়গাতেই এমনটা হওয়ায় এটি যে পরিকল্পনামাফিক তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। এক বিজেপি প্রার্থী তো বলেই দিয়েছিলেন, আমাকে যাঁরা গো ব্যাক বলছেন, তাঁদের বললে গো ব্যাক লিখতেও পারবেন না। ফলে উচ্চারণে সহজ ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি উঠছে বারবার।

তৃণমূলের তরফে এই বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের গর্জন বলে দেখানোর চেষ্টা হলেও বাস্তবটা কিন্তু তা নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের সুবিধার্থে এটি আইপ্যাকের পরিকল্পনা। সেইমতো নেতা-কর্মীদের বলা হয়েছে, বিজেপি কর্মীদের দেখলেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে।

বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ বলে মনেই হতো, কিন্তু সব জায়গাতেই এমনটা হওয়ায় এটি যে পরিকল্পনামাফিক তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। এক বিজেপি প্রার্থী তো বলেই দিয়েছিলেন, আমাকে যাঁরা গো ব্যাক বলছেন, তাঁদের বললে গো ব্যাক লিখতেও পারবেন না। ফলে উচ্চারণে সহজ ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি উঠছে বারবার।

রাজনতিক বিশ্লেষকদের মতে, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা আসনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন ফলতা থেকে ১ লক্ষের বেশি লিড পাবেন। ফলে বাকি ৬টি বিধানসভা ক্ষেত্রের ফলাফলের নিরিখে ওই লিড ছাপিয়ে যাওয়া মুশকিল। ঠিক যেমন ঘাটালে কেশপুর থেকেই ১ লক্ষের বেশি লিড প্রত্যাশা করছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীও বলেছেন, কেশপুরে অনেক বুথেই ওয়েবকাস্টিং বন্ধ রেখে লুঠ হয়েছে।
সে কারণেই কেশপুর থেকে ফলতা, এই ধরনের গো ব্যাক স্লোগানওয়ালা বিক্ষোভ পূর্ব পরিকল্পিতই। প্রশ্ন উঠছে, যদি শান্তিপূর্ণই ভোট হবে তাহলে কেন প্রার্থীকে বুথে যেতে দেওয়া হচ্ছে না? কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে নানা পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ক্যুইক রেসপন্স টিমও যথাযথভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ।

তাছাড়া গো ব্যাক স্লোগান দিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকেও কোনও এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা যাচ্ছে। যার জেরে সাতটি বিধানসভা ক্ষেত্রে তাঁর ঘোরার পরিকল্পনাও ধাক্কা খাচ্ছে। বিজেপি অবশ্য এই নয়া ট্রেন্ড মোকাবিলায় তৎপর। যে জায়গাগুলিতে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি ভালো, যে সব জায়গায় ভোটারদের প্রভাবিত করা, ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল, সেখানেই হাজির হচ্ছেন বিজেপি প্রার্থীরা। এতে কিছুটা হলেও তৃণমূলের রিগিং পরিকল্পনা রোখা যাবে বলে মনে করছেন প্রার্থীরা।

যদিও এই ধরনের গো ব্যাক স্লোগান, প্রার্থীকে আটকে দেওয়ার মাধ্যমে সুকৌশলে ভোটারদেরও বার্তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। তা হলো, সাধারণ ভোটাররা অনেকেই বুথমুখী হবেন না। তাঁরা যদি দেখেন প্রার্থীই আটকে গিয়েছেন, বুথে যেতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে সাধারণ ভোটাররা কোন ভরসায় ভোট দিতে যাবেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *