বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দের উপর ভরসা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? শেষ বেলার ভোটে বাংলার নয়টি আসনে ভোট। ভোট বৈতরণী পার করতেই কি স্মরণ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলের একটা অংশে।


কলকাতায় শেষ প্রচারের দিন স্বামীজির প্রতি মোদীর বিনম্র শ্রদ্ধা দেখা যায়৷ মঙ্গলবার তিনি উত্তর কলকাতায় রোড শো করেছিলেন। আর তারপর বিবেকানন্দ রকে যাওয়া৷ দুইয়ে দুইয়ে যেন চার করার পাটিগণিতেই ভরসা করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। তিনি উত্তর কলকাতার বাগবাজারে মা সারদার বাড়িতেও গিয়েছিলেন। গতকাল রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবে, মা সারদার ছবিও দেখা যায় তাঁর সঙ্গে৷ কলকাতা ও আশপাশের মানুষদের আবেগকে ধরতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী?

আগামী কাল ১ জুন পশ্চিমবঙ্গের শেষ নয়টি লোকসভা আসনে ভোট। দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও গেরুয়া শিবির জোর ড্রাইভ দিয়েছিল। কিন্তু কোনও একটি আসনও তারা ছিনিয়ে নিতে পারেনি।

এই সব ক’টি আসনই তৃণমূলের দূর্গ বলে কার্যত পরিচিত। এবার কলকাতা সহ আশেপাশের এই আসনগুলিকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। আর সেজন্য এই ভোট মরসুমে নরেন্দ্র মোদীও কলকাতা ও আশপাশে রোড শো, জনসভা করলেন। এই আসনগুলিতে এবার জোড়া ফুল ফুটিয়ে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি।

আর সেজন্যই কি বাঙালি ভোটারদের মনে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, সারদা মা, স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি শ্রদ্ধাকে বাড়িয়ে দিলেন? এই সব নয়টি সংসদীয় এলাকায় ঠাকুর রামকৃষ্ণ, সারদা মা, স্বামী বিবেকানন্দের প্রভাব যথেষ্ট। সেই ভক্তি, শ্রদ্ধাভাবকে প্রধানমন্ত্রীও ভোটে পাথেয় করলেন?
প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর ধ্যান মন্ডপমে ৪৮ ঘন্টা ধ্যান করবেন। একই স্থানে যেখানে স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালে ধ্যান করেছিলেন। দার্শনিক সন্তকে শ্রদ্ধা জানাতে রক মেমোরিয়াল স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মিত হয়েছিল। ভোটের আগে বাঙালি স্মৃতি ও আবেগকে উসকে দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী? সেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ব্যঙ্গ করেছেন। মমতার প্রশ্ন, “যে কেউ গিয়ে ধ্যান করতে পারেন। ধ্যান করার সময় কেউ কি ক্যামেরা নেয়?” আগামী কাল ভোট। প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপে কতটা গেরুয়া শিবিরে ফায়দা পাওয়া যাবে? সেই চর্চা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *