বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ভারতীয় রেলে বিপ্লব ঘটাতে চায় মোদী সরকার! আর সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবার বাংলাদেশের রেলপথকে ব্যবহার করে ট্রেন চালাতে উদ্যোগী মোদী সরকার। নদিয়া জেলার গেদে রেলওয়ে স্টেশন থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার ডালগাঁও রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে।

এর মাঝেই বাংলাদেশের রেলপথকে ব্যবহার করতে চায় ভারত। ইতিমধ্যে ভারতীয় রেল বোর্ডের (Indian Railway) এ প্রস্তাব বাংলাদেশ রেলওয়ের (Bangladesh Rail) কাছে তুলে ধরেছে ভারতীয় হাইকমিশন। বাংলাদেশ যদি সেই রেলপথ ব্যবহার করতে দেয় সেক্ষেত্রে ট্রেন চালানোর সময় ও দূরুত্ব দুটিই কমে যাবে।

জানা গিয়েছে, ভারতের প্রস্তাবে রাজি হলে বাংলাদেশের দর্শনা দিয়ে ঢুকবে ভারতের ট্রেন। পরে ঈশ্বরদী-আব্দুলপুর-পার্বতীপুর হয়ে চিলাহাটি পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করে ভারতীয় ট্রেনটি আবার ভারতে প্রবেশ করবে-এমনই প্রস্তাব বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া হয়েছে বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টগুলি ঘুরে দেখেছেন ভারতীয় আধিকারিকরা। আর তা ঘুরে দেখার পরেই বাংলাদেশের দর্শনা দিয়ে ভারতের ট্রেনের প্রবেশ এবং চিলাহাটি দিয়ে বের হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।

ভারতের এহেন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে বাংলাদেশ মন্ত্রিসভায়। তবে সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ভারতের ট্রেন চালানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। তবে এই বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। পাল্টা বাংলাদেশও এই প্রস্তাব থেকে কীভাবে সুবিধা পেতে পারে তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে বলে খবর।

এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অন্যতম আধিকারিক সরদার সাহাদাত আলী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা শুধু দুই দেশের মধ্যে রেলপথে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছি না। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পাশাপাশি নেপাল-ভুটানকেও যুক্ত করার কথা বলেন। তথ্য বলছে, নদিয়ার গেদে থেকে ট্রেন ছাড়বে।
আর তা চিলাহাটি হয়ে ট্রেন বের হবে। এবং তা হলদিবাড়ী-জলপাইগুড়ি-ধুপগুড়ি-ফালাকাটা-হাসিমারা হয়ে ডালগাঁও স্টেশন পর্যন্ত যাবে। বাংলাদেশের এই রেললাইন ব্যবহার করতে পারলে ভারতের অন্তত ১০০ কিলোমিটার পথ কমে আসবে বলে দাবি রেল আধিকারিকদের।

বলে রাখা প্রয়োজন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আটটি ইন্টারচেঞ্জ রয়েছে। পাঁচটি ইন্টারচেঞ্জ বর্তমানে কাজ করছে। আর সেগুলো হল – বেনাপোল-পেট্রোপোল, দর্শনা-গেদে, রোহনপুর-সিংবাধ, বিরাল-রাধিকারপুর ও চিলাহাটি-হলদিবাড়ী। এসব পথে নিয়মিত পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। ইন্টারচেঞ্জে এসে ভারত এবং বাংলাদেশের ট্রেন দাঁড়ায়। সেখনে ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) ও চালক (লোকোমাস্টার) দু’দেশের পরিবর্তন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *