বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:কংগ্রেস উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে ১৭-৬৩ ফর্মুলায় আসন সমঝোতা করেছে। অন্যদিকে দিল্লিতে আপের সঙ্গে ৩-৪ ফর্মুলায় আসন সমঝোতা পাকা। সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের তরফে নাকি কংগ্রেসকে ফের আসন সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

আবার তৃণমূলের তরফে কোনও সরকারি বয়ানও পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে জানিয়েছিলেন, বাংলার ৪২ টি আসনে তৃণমূল একাই লড়াই করবে।

সূত্রের খবর, বাংলায় তৃণমূল অবশ্য নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে খুব একটা রাজি নয়। তারা কংগ্রেসকে দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তাব দিয়েছে বলে খবর। তবে আগেই তৃণমূলের তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতে কংগ্রেস আপত্তি করেছিল।

সূত্রের আরও খবর, তৃণমূলের এবারের দেওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মেঘালয় ও অসমে একটি করে আসনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। মেঘালয়ের তুরা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় তৃণমূল। এই জায়গায় আগেই আপত্তি জানিয়েছিল কংগ্রেস। তারা তুরা আসন তৃণমূলকে ছাড়তে অস্বীকার করেছিল।

তৃণমূলের তরফে কংগ্রেসের কাছে তুরা আসন দাবি করে ২০১৯ সালের নির্বাচনী ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৯-এ এই আসনে কংগ্রেস পেয়েছিল নয় শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ১৩ শতাংশ, তৃণমূল ২৮ শতাংশ এবং এমএমপি পেয়েছিস ৪০ শতাংশ ভোট।
গতমাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, তৃণমূল বাংলার ৪২ টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার বাংলায় প্রবেশের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা ইন্ডিয়া ব্লকের কাছে ধাক্কা হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। তারপর বিহারে নীতীশ কুমার এবং উত্তর প্রদেশে আরএলডি ইন্ডিয়া ব্লক ছেড়েছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দেশ জুড়েই যেন ইন্ডিয়া ব্লকের ছন্নছাড়া অবস্থা।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করে দেওয়ার পরেও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছিলেন, কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে অচলাবস্থা সমাধানের জন্য আশাবাদী। তিনি আরও বলেছিলেন, কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া ইন্ডিয়া ব্লকের কথা ভাবতে পারে না। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরিহার্য বলেও বর্ণনা করেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।

সূত্রের খবর দিল্লিতে কংগ্রেস-আপের মধ্যে আসন সমঝোতা সামনে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল তাদের আগের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। তবে কংগ্রেসকে নিয়ে তৃণমূলের আপত্তির বড় কারণ প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি সুযোগ পেলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেন, যা কিনা তৃণমূলের মোটেও পছন্দ নয়।

তৃণমূলের তরফে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কিংবা সনিয়া-রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে কোনও কথা বলে না। অন্যদিকে অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, কংগ্রেসের তৃণমূলকে দরকার নেই, তৃণমূলেরই কংগ্রেসকে দরকার হয়েছে। তৃণমূলের তরফে কংগ্রেসকে দুটি আসনের অফার তিনি কোনওভাবেই মানতে চাননি আগে। তবে এবার কী হয় এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *