বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আয়লা, আম্ফানের অভিজ্ঞাতা বলছে মে মাসের শেষের দিকে দক্ষিণবঙ্গ খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় থাকে। এবার আবার বঙ্গোপসাগরে নতুন বিপদ – রেমাল। ঘূর্ণিঝড় রেমাল নাকি সুন্দরবনে ল্যান্ডফল করে কলকাতার ওপর দিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে।
এমনই আশঙ্কার কথা সামনে আসছে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় মডেলে। একাধিক রিপোর্টেও তা দাবি করা হচ্ছে। ২২ মে এক প্রতিবেদনা দাবি করা হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার পর ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে কলকাতায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কী বলছে হাওয়া অফিস?
স্বাবাভিক কারণেই কপালে ভাঁজ পড়েছে সুন্দরবনের মানুষদের। মৌমস ভবন সকালের বুলেটিনে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। ২৪ মে সকালে এই সিস্টেমটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। এরপর সেটি ২৫ মে সন্ধ্যায় উত্তরপূর্ব এবং তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছতে পারে। 5এদিকে এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় তৈরির কোনও কথা মৌসম ভবনের বুলেটিনে বলা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সাগরে থাকা মৎস্যজীবীদের তীরে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আগামী ২৬ মে পর্যন্ত সাগরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে আবহাওয়ার মডেলের বরাত দিয়ে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আমফানের গতিপথ ধরেই এগোতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মডেলের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই গতিপথ অপরিবর্তিত থাকলে কলকাতা শহরে ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোটের বাজারে সরকার কতটা প্রস্তুত এই ঝড় মোকাবিলায় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।