বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:৫০ দিন পরেও অধরা শাহজাহান শেখ। এবার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপ করল ইডি। পুরনো মামলায় ECIR দায়ের করেছে ইডি। তাতে জমি দখল এবং খুনের অভিযোগ ছিল সন্দেশখালির বাদশাহের বিরুদ্ধে। সেই মামলার যোগে কলকাতা শহরে একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে ইডি।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির উপরে হামলার অভিযোগ রয়েছে সন্দেশখালির বাঘ শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত অধরা তিনি। এখনও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার দুই শাগরেদ শিবু হাজরা আর উত্তম সর্দার গ্রেফতার হলেও শাহজাহান শেখকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
যদিও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার পাল্টা ইডির উপর দায় চাপিয়েছেন। তিনি বলেছেন যদি শাহজাহান শেখ তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে তাকে তাহলে ইডি কেন গ্রেফতার করল না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ শাহজাহান শেখ।
তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির এভিযোগে গত জানুয়ারি মাসে তল্লাশিতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে গিয়ে শাহজাহান অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডিরপ অফিসাররা।এমনকী ইডির সঙ্গে আসা কেন্দ্রীয় বািহনীর জওয়ানদের উপরেও হামলা চালিয়েছিল শাহজাহান শেখের দলবল। তারপর থেকেই এলাকা ছাড়া সন্দেশখালির বাঘ। একাধিকবার তাকে ইডি তলব করেছে কিন্তু কোনও বারই হাজিরা দেননি শাহজাহান শেখ। এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। আদালতও শাহজাহান শেখের গ্রেফতারি নিয়ে
সওয়াল করে ইডি। আদালতে বিচারপতিও শাহজাহান শেখকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা নিয়ে রাজ্য পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল।
সূত্রের খবর আগামী শুনানিতে শাহজাহান শেখকে তলব করতে পারে আদালত। তাখন কী করবেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা এই িনয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে আজ নতুন করে ফের শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল ইডি। পুরনো জমি দখল এবং খুনের মামলায় ইসিআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সেই মামলাতেই আজ ফের কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। কলকাতা এবং বিরাটিতে ভেড়ি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিকে শাহজাহান শেখের পরিবারের বিরুদ্ধেও উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। তাঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধেও জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে।
সকলকে চমকে দিয়ে পরশুদিন সন্দেশখালি পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সেখানে একটা দিন কাটিয়েছেন তিনি। লঞ্চে সন্দেশখালির বিভিন্ন দ্বীপ ঘুরে দেখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির গ্রামেও টোটো নিয়ে ঘুরেছেন। সন্দেশখালি ছাড়ার আগে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন যাঁরা আইন ভেঙেছে তারা গ্রেফতার হবেই।
শাহজাহান শেখের নামও করেছিলেন তিনি।