বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযানে ধুন্ধুমার। আগে থেকেই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মতোই নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় জমায়েত। পুলিশ আগে থেকেই ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়।
এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তা ধস্তি শুরু হয়েছিল। প্রচণ্ড রোগ এবং গরমে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোহের পরেই তার পদত্যাগ দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস।
কয়েকদিন আগে রাজ্যভবনের এক মহিলা কর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। একবার নয় দুবার তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে লালবাজারে অভিযোগ জানিয়েছেন সেই কর্মী। ২০২১ সাল থেকে তিনি রাজভবনের পিস রুমে কাজ করছিলেন। রাজভবনেরই হোস্টেলে থাকতেন তিনি। অভিযোগ দায়েরে পর তিনি আর সেখানে থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়ে যায়। যদিও রাজ্যপাল দাবি করেন তাঁকে পরিকল্পনা করে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। সত্যিটা একটা সময়ে সামনে আসবেই। তিনি কোনও ভাবেই এই ঘটনায় দোষী নন। সাংবিধানিক রক্ষা কবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা যায়নি। সংবিধানের ৩৬১ ধারায় রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ করা যায় না। দেশের কোনও আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়না।
সেকারণে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করতে পারেনি পুলিশ। তবে রাজভবনের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছিল। তাতে রাজ্যপাল প্রবল রেগে যান এবং রাজভবনের কোনও কর্মী যাতে কোনও পুলিশের সঙ্গে কথা না বলেন এমনই নির্দেশিকা জারি করেন। তারপরে আবার রাজববনের পক্ষ থেকে সিসিিটভি ফুটেজ বের করা হয়। তাতে অভিযোগকারীকে দেখানো হয়েছে। নবান্ন বা পুলিশকে সেই ফুটেজ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের পক্ষ থেকে।
এরপরেই রাজ্যপালের পদত্যাগের দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী সভা থেকে তিনি বলেন এবার রাজভবনে ডাকলেও তিনি যাবেন না। তারপরেই আবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এক নৃত্যশিল্পীর দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনে কলকাতা পুলিশ। একের পর এক অভিযোগের পর রাজ্যপালের পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযানের ডাক দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা সেল।