বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:নির্ধারিত সময়ের আগেই দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দিলেন অভিনেতা দেব। সকাল ১১টায় তলব করা হয়েিছল তাঁকে। তার আগেই ১০টা ৪০ নাগাদ তিনি পৌঁছে যান দিল্লিতে ইডির দফতরে। গরুপাচার মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে। এর আগে দেড় বছর আগে কলকাতায় ইডি তাঁকে ৫ ঘণ্টা জেরা করেছিল।

 

ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিেনতা দেব। কয়েকদিন আগেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। রাজনীতিতে থাকতে চান না বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিনেতা। তৃণমূলের দুর্নীতি িনয়েও প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন তিনি। এমনকী রাজনীতি ছাড়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। দেবের এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।

তারপরেই তড়িঘড়ি দেবকে নিয়ে বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই নিজের বয়ান বদল করেন তিনি। দেব বলেন আমি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না। তারপরকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি ঘাটাল কেন্দ্র থেকে এবারও প্রার্থী হচ্ছেন দেব। যদিও এই নিয়ে স্পষ্ট কোনও কথা বলা হয়নি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গরু পাচার মামলায় এ আগে ২০২২ সালে একবার ইডি তলব করা হয়েছিল অভিনেতা দেবকে। সেবার প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল। কিন্ত দেবের বিরুদ্ধে গরুপাচার কাণ্ডের এখনও কোনও পোক্ত নথি হাতে আসেনি ইডি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গরুপাচার মামলায় তলব করা হল দেবকে। তারকা সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিিন নাকি গরুপাচারের কালো টাকা দিয়ে সিনেমা তৈরি করেছিলেন। যদিও সেই সব অভিযোগ মিথ্যে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা দেব।

অভিনেতা দেবকে নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। লোকসভা অধিবেশনের শেষ দিনে অভিনেতা দেব ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী যদি ঘাটালের মানুষের কথা ভেবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানটি বাস্তবায়ীত করেন। করণ এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানটি না হওয়ার কারণেই ঘাটালের মানুষ প্রতিবছর চরম দুর্দশার মধ্যদিয়ে যান।

লোকসভা অধিবেশন চলাকালীন নাকি দেব বিজেপি শাসিত রাজ্যের এক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। পরে সেই জল্পনা উড়িয়ে দিেয়ছিলেন তিনি। এমনকী রাজনীতিতে দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন শাসক দলকে। তারপরেই শাসক দল তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন দেবকে িনয়ে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই দেবকে ইডি তলব জল্পনা বাড়াচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *