বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার বাঁকড়ায় তিন নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে এলোপাথাড়ি গুলি দুষ্কৃতীদের। আহত দুই। স্থানীয়দের দাবি চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চলে। গুলিতে আহত হয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা। গুলির আওয়াজ শুনে পঞ্চায়েত প্রধান টেবিলের তলায় আশ্রয় নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর একটা নাগাদ মুক ঢেকে পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকে জনা চারেক দুষ্কৃতী। সেই সময় তাদের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। অফিসের ভিতরে ঢুকেই গুলি চালায় তারা। চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চলে। গুলিতে আহত দুইজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আহত হন পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা। মহিলা প্রধানকে টার্গেট করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তিনি প্রাণ বাঁচাতে অফিসের টেবিলের নিচে আশ্রয় নেন। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি কেড়ে নেন। তারপর দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও র্যাফ। হাওড়া কমিশনারেট ছাড়াও ডোমজুড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এদিনের ঘটনাটি ঘটেছে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ও প্রাক্তন সদস্যের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছে। এদিন গুলি চালিয়েছে পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্যের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
জানা গিয়েছে, প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকে ওই দুষ্কৃতীরা। তারপর বাধা পেয়েই গুলি চালায় ওই দুষ্কৃতীরা। তবে যেসব দুষ্কৃতীরা এসেছিল, তাদেরকে চিনতে পারেননি স্থানীয়রা। স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতা জানিয়েছেন, এলাকার বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ জানিয়েছেন, যত বড় নেতাই হোন না কেন, এই ঘটনায় শাস্তি পাবে হামলাকারীরা। অন্যদিকে তৃণমূলের আরেক অংশ দাবি করেছে, ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক এই হামলার পিছনে রয়েছে।