বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:দেশজুড়ে কোভিড টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় হয়ে উঠে। টিকাকরণের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। সেই নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। কিন্ত লোকসভা ভোটের মধ্যেই কোভিড সার্টিফিকেট থেকে উধাও মোদীর ছবি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফর্মুলায় তৈরি কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই টিকার ডোজে বিরল রোগের সম্ভাবনা আছে। থ্রম্বোসিস-থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোভিশিল্ডে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। আদালতে এমনটাই স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছে ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে যে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

যেহেতু ভ্যাকসিন নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে রক্ত জমাট বাঁধার সাথে সম্পর্কিত একটি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়টিকে স্বীকার করে নিয়েছেন তারপর থেকেই কোভিড টিকার বিষয়ে আলোচনাকে শুরু হয়েছে, তাই ভারতে অনেকেই তাদের টিকা নেওয়ার শংসাপত্র নতুন করে ডাউনলোড করতে শুরু করেছেন।তারপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে যে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ইস্যু করা সার্টিফিকেট থেকে উধাও মোদীর ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (আগের টুইটার) উঠে এসেছে যে ভারতে জারি করা কোভিড -১৯ টিকা শংসাপত্রে আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি নেই। “কোভিড ভ্যাকসিন শংসাপত্রে মোদীজি আর দৃশ্যমান নয়। শুধু চেক করার জন্য ডাউনলোড করা হয়েছে – হ্যাঁ, তার ছবি চলে গেছে,” সমাজ মাধ্যমে নতুন সার্টিফিকেটের ছবি পোস্ট করে এমনই মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা তরফে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়ার পর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। করোনা টিকার কৃতিত্ব দাবি করতে কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পিছপা না হলেও, এখন কেন নিশ্চুপ, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। ভারতে শ্রীরাম সংস্থার থেকে ৫০ কোটির নির্বাচনী বন্ড কি এই কারণেই নিয়েছিল? এমনও প্রশ্ন উঠেছে। রাজনীতি নয়, মানুষের জীবনের প্রশ্ন জড়িয়ে এর সঙ্গে।নির্লজ্জ ভাবে টিকার কৃতিত্ব দাবি করা প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতেই হবে। কারণ ভারতের অর্ধেক জনসংখ্যাই এই সংস্থার ভ্যাকসিন নিয়েছে।

যদিও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী বিধি মেনেই সার্টিফিকেট থেকে মোদীর ছবি সরিয়ে নেরওয়া হয়েছে। কারণ এই সময় ছবি থাকলে তা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের সামিল হত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *