বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:গত কয়েকদিন আগেই প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। আর এর মধ্যেই ফের নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ। আর এরপরেই এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

২০২০ সালের এসএলএসটি নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা রানী সোনার। সাঁওতালি মিডিয়াম স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ (SLST Teacher Recruitment) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

এসএসসি (West Bengal School Service Commission) যে ভেরিফিকেশন লিস্ট প্রকাশ করেছিল সেখানে তাঁর র‍্যাঙ্ক ছিল ৫১, তার পর ভেরিফিকেশনে চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার শেষে মেধাতালিকায় সে ছিল দ্বিতীয় স্থানে। রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে শূন্যপদে নিয়োগ করলেও মামলাকারিকে কোন সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

কিন্তু গত ২৬শে জুলাই ২০২১ এবং ৩০শে জুন ২০২৩ সালে এসএসসির কাছে নিয়োগপত্র পাওয়ার আবেদন জানায়। কিন্তু কতৃপক্ষের তরফে কোন সদুত্তর না পাওয়ার তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সম্প্রতি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলার শুনানি হয়। মামলাকারিরর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী।

মামলার শুনানিতে (Calcutta High Court) আইনজীবী জানান, রানী সোনার মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। এসএসসির কাছে বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও তারা নিরুত্তর। এসএসসি একজন মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারিকে নিয়োগপত্র পাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্ময় প্রকাশ করে এসএসসির আইনজীবী ডক্টর সুতানু পাত্রের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন আপনার কাছে এবিষয় কি তথ্য রয়েছে? যে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েও সুপারিশ পত্র পায়নি? এবং এসএসসির কাছে আবেদন করেও কেন কোন উত্তর পেলো না? আইনজীবী উত্তরে জানান তাকে পূর বিষয়টি কতৃপক্ষের কাছে জানতে হবে।
আর এরপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ (Calcutta High Court) দেন কেন মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থেকে কেন তাকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হলো না, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এখন দেখার স্কুল সার্ভিস কমিশন এই বিষয়ে কী রিপোর্ট দেয়।

বলে রাখা প্রয়োজন, দুর্নীতির অভিযোগে গত দীর্ঘ মামলার শুনানি শেষে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। চাকরি গেছে প্রায় ২৬ হাজার যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীর। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *