বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা ভোটের প্রচারে সংরক্ষণ হাতিয়ার দুই দলেরই। কংগ্রেস হোক বা বিজেপি উভয় দলই সংরক্ষণ ইস্যুতে প্রতিদিনই একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন।
সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী গুজরাত থেকেই সংরক্ষণ ইস্যুতে মোদী সরকারকে নিশানা করেন। পাল্টা কংগ্রেসের ঘাঁটি কর্ণাটক থেকেই সংরক্ষণ এবং মুসলিম তোষণ নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে দেশে ধর্ম-ভিত্তিক সংরক্ষণের পরিকল্পনা করার অভিযোগ করেছেন।
মোদীর অভিযোগ, ধর্ম-ভিত্তিক সংরক্ষণের কংগ্রেসের এই প্রস্তাবটি সংখ্যালঘুদের খুশি করার জন্য কারণ এসসি/এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায় এখন বিজেপির সাথে রয়েছে। “কর্নাটকে, কংগ্রেস সংবিধান পরিবর্তন করতে এবং এসসি/এসটি এবং ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য একটি প্রচার শুরু করেছে।আমাদের সংবিধান ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণকে মেনে নেয় না। কিন্তু কর্ণাটক সরকার মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষণের অংশ দিয়েছে।’
এরআগে তোষণ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন মোদী। তিনি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস আমাদের দেশের ইতিহাসও লিখিয়েছে নিজেদের ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে। তোষণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আজও কংগ্রেসের যুবরাজ, সেই পাপকাজটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা (কংগ্রেস)তারা এর আগেও তাদের ইস্তেহারে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণের জন্য একটি আইন নিয়ে আসার কথা বলেছিল। এবার তাদের ইস্তেহারেও একই রকম ইঙ্গিত রয়েছে।
রাহুলকে ‘শাহজ়াদা’ উল্লেখ করে মোদীর বক্তব্য, ”স্বাধীনতার লড়াইয়ের সময়ে থেকে কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক তোষণের খাতায় নাম লিখিয়েছে। কংগ্রেসের শাহজাদা সেই পাপকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর তাজা বয়ান, ভারতের রাজা মহারাজারা অত্যাচারী ছিলেন। তাঁরা নিজেদের মর্জিমাফিক গরিবের জমি ছিনিয়ে নিতেন। শাহজ়াদার এই বয়ান তোষণের বয়ান।’
একইসঙ্গে মোদীর অভিযোগ, কংগ্রেস এ কথা বলে শিবাজিকে অপমান করেছেন। ভেবে দেখুন, তিনি মহারাজাকে খারাপ বলছেন, অথচ নিজ়াম, বাদশা, সুলতানেরা ভারতবাসীর উপরে যে অত্যাচার করেছেন তা নিয়ে শাহজ়াদার মুখে তালা, কথা বন্ধ।”
সোমবার গুজরাতের একটি জনসভা থেকে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যার নব্বই শতাংশ এসসি, এসটি এবং ওবিসি নিয়ে গঠিত, তবে আপনি কর্পোরেট, মিডিয়া (সেক্টর), বেসরকারী হাসপাতাল, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারী আমলা হিসাবে তাদের প্রতিনিধিত্ব পাবেন না। আমরা ভোটের পক্ষ ক্ষমতায় এলে প্রথমে একটি সমীক্ষা চালাব।’ সম মিলিয়ে এবারের ভোটে বড় ইস্যু কিন্তু সংরক্ষণ।