বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:অবশেষে সন্দেশখালির মাটিতে পা রাখতে পারল বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হাইকোর্টের অর্ডার িনয়ে সন্দেশখালিতে প্রবেশ করলেন। শুভেন্দু সন্দেশখালিতে পা রাখতেই শুরু হল পুস্পবৃষ্টি, শঙ্খধ্বনি। মা-বোনেদের ন্যায় বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুভেন্দু রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে বলেছেন শাহজাহান শেখ গ্রেফতার হবেই।

 

শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন সন্দেশখালির মানুষ শাহজাহান শেখের ফাঁসি চায়। তিনি মহিলাদের আস্বস্ত করে বলেছেন কোনও ভয় নেই। তিনি তাঁদের পাশে আছেন। শাহজাহানের শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। গ্রামের এক প্রবীণ শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে প্রায় কেঁদে ফেলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন একটি টাকা না দিয়ে শিবু হাজরা তাঁর ১০ বিঘে জমি দখল করে নিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী পা রাখতেই যেন বদলে গিয়েছিল সন্দেশখালির চেহারা। ৯ দিন ধরে সন্দেশখালির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি। অবশেষে সফল হল তারা। আদালতের রায় এবং প্রাধান বিচারপতির নির্দেশ হাতে িনয়ে তবে ভেতরে প্রবেশ করতে হয় তাঁকে। বোটে করে ধামাখালি থেকে সন্দেশখালিতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও।

সন্দেশখালিতেো পা রাখতেই শুরু হয় শঙ্খধ্বনি, উলু। গ্রামের মহিলারা অনেক দিন পর ফের বেরিয়ে আসেন বাড়ির বাইরে। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই সন্দেশখালি যেন উত্তেজনায় ফুটতে শুরু করেছিল আজ। গ্রামের মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে এসে তাঁদের রাগ অভিমান ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দুর কাছে। আতঙ্কে তাঁরা সন্তানদের নিয়ে ঘরে থাকতে পারছেন না। শুভেন্দুর পা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।
শুভেন্দু সন্দেশখালিতে পা রাখতেই যেন নতুন করে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে। এতোদিন যাঁরা ঘরে সিঁধিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা আজ নির্ভয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নির্ভয়ে শিবু হাজরা , উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিলেন মহিলারা। তাঁদের আশ্বস্ত করে গ্রামের মাঠে বসে অভিযোগ শোনেনি। গ্রামের মহিলারা বেরিয়ে এসে তাঁদের অভিযোগ জানান।

সন্দেশখালির মহিলাদের লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন শাহজাহান শেখের শাস্তি হবেই। কিছুতেই ছাড়া পাবে না। আপনারা মাথা নত করবে না। আরা আপনাদের পাশে আছি। সন্দেশখালিতে ক্যাম্প করে সরকার তাঁদের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি রাজ্য সরকারকে তীব্র নিশানা করে বলেছেন, এই মহিলাদের বাইরের লোক বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যাঁরা প্রাণভয়ে ঘরে থাকতে পারছেন না। এখন তিনি এসে দেখিয়ে দিয়ে যান কারা বহিরাগত। আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বহিরাগত বলে নিশানা করেছেন তিনি। তাঁদের আটকে রাখার জন্য এখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আজ গ্রামবাসীরা যেভাবে বেরিয়ে এসেছিলেন সেকারণেই তাঁদের আসতে দেওয়া হচ্ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *