বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে সিরিজে সুযোগ পেয়েই নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পেরেছিলেন ধ্রুব জুরে‌ল। কিন্তু চলতি আইপিএলেপ সেভাবে ব্যাট হাতে ছন্দে দেখা যাচ্ছিল না তাঁকে। অবশেষে শনিবার নিজের রাজ্যের দলের বিরুদ্ধেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন তরুণ এই ক্রিকেটার।

অর্ধশতরান করে বাবাকে স্যালুট দিলেন এবং ম্যাচ শেষে মাঠেই পরিবারের সঙ্গে আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন জুরেল।

লখনউয়ের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে পর পর তিনটি উইকেট হারিয়ে আচমকাই একটু চাপে পড়ে যায় রাজস্থান।সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক সঞ্জু এবং ধ্রুব জুরেল। কঠিন সময়ে নেমে ব্যাট হাতে ফের একবার জ্বলে উঠলেন ধ্রুব। প্রমাণ করলেন তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন ধ্রুব তারা। ম্যাচ জেতানো অর্ধশতরান করলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, সঞ্জুর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জুটি বেঁধে দলকে জেতালেন। চতুর্থ উইকেটে ১২১ রানের জুটি রাজস্থানকে জিতিয়ে দিল।

অর্ধশতরান করে ফের একাবর স্যালুট সেলিব্রেশন করলেন জুরেল। স্যালুট সেলিব্রেশনের কারণও জানিয়েছিলেন ধ্রুব জুড়েল। তাঁর বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সীমান্তে যেমন লড়াই করতে হয়েছে, তেমনই ধ্রুব জুড়েলকে ক্রিকেটার বানাতেও।বাবা নেম সিং জুড়েল ছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্য। কার্গিল যুদ্ধের বীর সেনা ছিলেন তিনি।ধ্রুবের বাবা কার্গিলের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাই ছোট বেলা থেকেই লড়াই ধ্রুব-র রক্তে।

টেস্ট ক্রিকেটে তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরির পর বাবাকে সম্মান জানাতেই স্যালুট করেছিলেন। কিন্তু সামনাসামনি কখনও মাঠ থেকে বাবাকে স্যালুট দেওয়ার সুযোগ হয়নি জুরেলের। শনিবার সেই সুযোগও এল। এ বারের আইপিএলে সেই অর্থে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। লখনউয়ের বিরুদ্ধে চাপের মুহূর্তে নামলেন ৩৩ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন।

ম্যাচ শেষে ধ্রুব বলেন ‘এই স্যালুট সেলিব্রেশন বাবার জন্যই করি। টেস্ট ম্যাচেও করেছিলাম। কিন্তু বাবার সামনে সেই সুযোগ হয়নি। আজ বাবা স্ট্যান্ডে ছিল। প্রথম বার তার সামনে স্যালুট করার সুযোগ পেলাম। ম্যাচটা শেষ করে আসচে চেয়েছিলাম। সঞ্জু ভাই বলে, চাপ না নিতে। পরিস্থিতি বুঝে শট খেলতে।’

ম্যাচ জেতার পর মাঠের মধ্যেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন রাজস্থান রয়্যালস দলের এই ক্রিকেটার। তবে ১৪ বছর বয়সে কঠিন বাস্তবতারও মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। মা-বাবাকে ক্রিকেট খেলার সরঞ্জাম কিনে দিতে বলেছিলেন। এর জবাবে তাঁকে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে বলেছিলেন বাবা। কিন্তু মায়ের মন মানেনি। ছেলের ইচ্ছাপূরণে গলার সোনার হার বিক্রি করেছিলেন মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *