বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:দীর্ঘ টালবাহানা শেষ! ইডির হাতে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এবার সেই রিপোর্ট নিয়ে কলকাতা হাইককোর্টে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিল CBI – ED। সেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থা স্পষ্ট জানিয়েছে, যে সন্দেহ করা হয়েছিল। তা মিলে গিয়েছে।

ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উদ্বেগ বাড়ল ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। তবে কোন কথোপকথনের সঙ্গে তাঁর কণ্ঠস্বর মিলে গেছে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এদিন ফের একবার ইডির রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় বুধবার।

শুনানি চলাকালীন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা রিপোর্ট আকারে জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এদিন ফের একবার অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তকারী সংস্থাকে বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট আসছে না তাই তদন্ত এগোচ্ছে না। এখন বলছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জন্য মানিক ভট্টাচার্য কে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছি না। হচ্ছেটা কি?

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিং। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে ফের হেফাজতে নিয়ে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছে না বলে আদালতে দাবি করে ইডির আইনজীবী।
এরপরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অন্যদিকে ফরেনসিক রিপোর্ট (সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর) এসেছে কিনা তা নিয়ে ED-কে প্রশ্ন করেন এদিন বিচারপতি সিনহা। আর তখনই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনা মিলে গেছে বলে আদালতে জানায় ইডি। যে দাবি করছিলাম তার স্বপক্ষেই রিপোর্ট এসেছে বলেও আদালতে জানায় জানাল ED।

অন্যদিকে একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও এদিন মামলার শুনানিতে আদালতকে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে লিপস এণ্ড বাউন্সের আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল আদালত। সেটা কি জানা গিয়েছে কিনা ইডিকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি সিনহা। এমনকি টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সত্যিই কী তা হয়েছে তা নিয়েও এদিন ইডিকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। কিন্তু কোনও উত্তরই এদিন দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী।

এরপরেই অসন্তোষ করেন বিচারপতি। আপনাদের মনে হয় না যে এই রিপোর্ট অসম্পূর্ণ? – ED কে প্রশ্ন বিচারপতির। এই রিপোর্ট যদি আপনাদের পক্ষে থাকে তাহলে রিপোর্ট নিয়ে আপনারা কি করলেন? – ED কে প্রশ্ন বিচারপতির। ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানান, সারাদিন রাত কাজ করছে। খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আমরা আরো একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। আমরা রোজ তদন্তে অগ্রগতি করছি বলে আদালতকে জানায় ED।

এমনকি ১৩৪ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু বিপুল দুর্নীতির প্রশ্নে ১৩৪ কোটি খুব নগন্য অংকের টাকা বলএ ED কে প্রশ্ন বিচারপতির। আগামী ১২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ফের রিপোর্ট দিতে হবে ইডিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *