বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রয়োজন মুখ্যসচিবের অনুমতি।
আর তা নিয়ে অবস্থান জানানোর জন্য শেষবারের জন্য সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে চতুর্থবারের জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নিজের অবস্থান জানানোর সুযোগ দিল আদালত (Calcutta High Court) ।
আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এই বিষয়ে মুখ্য সচিবকে নিজের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। আর তা দিতে হবে আগামী ২ রা মে – র মধ্যে। কার্যত এটাই শেষ সুযোগ (recruitment Scam) বলে ইঙ্গিত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, যদি এবারও তিনি নিজের অবস্থান না জানান তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে। শুধু তাই নয়, পর্যবেক্ষণে কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানায়, তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া মসৃণ ভাবে চলছে কিনা সেটা দেখা আদালতের কাজ।
যদি দেখা যায় যে এক্ষেত্রে কোন বাধা আসছে তাহলে সেটা সরানোর কাজ আমাদের করতে হবে। এমনকি যদি বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি মুখ্যসচিব না দেন তাহলে বাধ্য হয়ে আদালতকেই সেই কাজ করতে হবে বলেও জানান মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর। এমনকি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করা হবে বলেও মন্তব্য বিচারপতির।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ধৃত আমলাদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে রাজ্যের অনুমিত লাগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি রাজ্যের তরফে। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থ। এমনকি চার্জশিট জমা পড়ে গেলেও অনুমতি না থাকায় বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ সামনে আসে।
তা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছেও জবাব তলব করে। কিন্ত্যু একের পর এক শুনানির দিন চলে গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অনুমতি দেওয়া নিয়ে মুখ্যসচিবের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে আজ মঙ্গলবার শুনানিতে ক্ষোভও প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। বলে রাখা প্রয়োজন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সেই মামলাতেই সিবিআই এহেন অভিযোগ জানায়। বলে রাখা প্রয়োজন, সোমবারই দুর্নীতি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় বাতিল হয়েছে ২৬ হাজার চাকরি।