বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি মানুষ আস্থা হারাচ্ছে, পুলিশের প্রতি মানুষের বিশ্বাস নেই, সাধারণ মানুষের শেষ ভরসাস্থল ছিল বিচার ব্যবস্থা।

সেই বিচার ব্যবস্থাকে যখন,’চ্যালেঞ্জ’ জানানো হয়, তখন দুশ্চিন্তায় পড়েন মানুষ। ঠিক ভোটের আগে SSC র ২০১৬ সালের প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করেছে কোলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সামনেই ভোট। তাই রাজনৈতিক দলগুলো কেউ ক্ষুব্ধ আবার কেউ উল্লোসিত। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন ২০১৬ সালের পরীক্ষার প্যানেলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেয়। শুধু তাই নয়, বেআইনিভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের ফেরাতে হবে বেতন,তাও ১২ শতাংশ সুদ সমেত। আর এই নিয়েই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন,আট বছর যাঁরা চাকরি করলেন তাঁরা বেতন কীভাবে ফেরত দেবেন?

সোমবার ভোট প্রচারে গিয়ে এই রায়ের খবর শুনতে পান মুখ্যমন্ত্রী। দিনাজপুর থেকে তিনি গর্জে ওঠেন। বলেন, “রায় নিয়ে বলার অধিকার আমার রয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। কারণ ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি বাতিল মানে প্রায় দেড় লক্ষ পরিবার।” এরপরই ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, “আপনারা যাঁরা এই রায়টা দিচ্ছেন, সারা জীবন আপনারা যাঁরা চাকরি করলেন, তাঁদের যদি টাকা ফেরত দিতে বলা হয় পারবেন দিতে?” মুখ্যমন্ত্রী এও শুনিয়ে দেন, “সব তো সরকারি টাকায় চলেন, সরকারের গাড়িতে চড়েন, সরকারি নিরাপত্তা পান। আমরা আপনাদের সম্মান করি।” এরপর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “আমি এই অর্ডারকে বেআইনি বলছি।” এই কথা বলা মানে কি বিচার ব্যবস্থাকে ধমক দেওয়া নয়। রায় পছন্দ না হলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়াই যায়, কিন্তু রায়কে বেআইনি বলা কি আদালত অবমাননা নয়, – বলছেন বিরোধী দলের নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *