বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক::  তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নির্দেশে মৌনব্রত নিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সে কথা জানিয়েও দিলেন দলবদলু সাংসদ। সোমবার রাতে সাংসদকে ফোন করেন সুব্রত। দলীয় সূত্রের খবর, তিনি অর্জুনকে ভাটপাড়ার গোলমাল নিয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করেন। মঙ্গলবার অর্জুন জানান, দলীয় সভাপতির নির্দেশ মেনে তিনি ভিকির খুন নিয়ে কোনও কথা বলবেন না।

সম্প্রতি ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুন হন। ঘটনার পর থেকেই তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দলে উত্তপ্ত হয়েছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিংহের আত্মীয় পাপ্পু সিংহ। বিজেপি ছেড়ে অর্জুন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি ফের গরম হয়ে ওঠে। তৃণমূলের অন্দরে অর্জুন বিরোধী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়। এলাকায় বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনাও ঘটে। তবে ভিকির খুন ঘিরে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে অর্জুনের বাগযুদ্ধ চরমে ওঠে। দুজনেই দুজনের বিরুদ্ধে চড়া সুরে বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি দেন। তাতে অস্বস্তিতে পড়েন শাসকদলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব।

এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের মুখে নড়েচড়ে বসেন শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ফোন করে অর্জুনকে সংযত হতে নির্দেশ দেন। তারপরই এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন সাংসদ।

গত ২১ নভেম্বর ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানিতালাও সংলগ্ন এলাকায় খুন হন তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব। তিনজন বাইকে করে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তাঁর উপর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ভিকির। অর্জুনের ভাইপো পাপ্পু গ্রেফতার হওয়ার পরের দিনই সাংসদ অনুগামীরা তাঁর মুক্তির দাবিতে পথে নামেন। হয় পথ অবরোধ। তাঁরা বিধায়কের গ্রেফতারের দাবি জানান। পাল্টা পথে নামে বিধায়ক গোষ্ঠী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *