বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ (Awami League)। টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর মসনদে মুজিব-কন্যা।
তবে হাসিনা এই নিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রেকর্ডও গড়ে ফেললেন। আজ হাসিনাকে ফোন করে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নরেন্দ্র মোদী এদিন এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বললাম। টানা চতুর্থবার সংসদ নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়লাভের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। সফলভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদেরও অভিনন্দন জানালাম। জনগণকেন্দ্রিক দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তাও দিয়েছেন মোদী।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ, হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন মোদী। অভিনন্দন-বার্তায় উল্লেখ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দেশকে টানা চতুর্থ মেয়াদে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মোদী আশাপ্রকাশ করে লিখেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দুই দেশের অপরিবর্তনীয় অংশীদারত্ব নানা ক্ষেত্রে গভীরতর হতে থাকবে।
নরেন্দ্র মোদী চিঠিতে লিখেছেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ভারত বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের জনগণকে তাঁদের অব্যাহত অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মোদী শুভকামনা জানিয়েছেন বলেও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রায় সব বিরোধী দলই নির্বাচন বয়কটের পথে হেঁটেছিল। ৩০০টির মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। ২২২টি আসনে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টি জিতেছে ১১টি আসন। নির্দলরা ৬২ ও অন্যান্যরা ৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন আজ দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।
হাসিনা বলেন, প্রতিটি দলের নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। কোনও দল নির্বাচনে অংশ না নিলে এটা নয় যে গণতন্ত্র নেই। বিবেচনা করতে হবে মানুষ অংশ নিলেন কিনা। বিএনপির নাম না করে হাসিনা বলেন, ওরা আগুন লাগায়, মানুষ হত্যা করে। কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে। এটা কি গণতন্ত্র? এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, যা মানুষ গ্রহণ করেন না।
হাসিনা বলেন, এমন ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি। মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণই শেষ কথা। বিএনপি মানুষকে নির্বাচনে ভোট না দিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা চালালেও মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সংসদে বিরোধী দল কে হবে তা নিয়ে জল্পনার মধ্যে হাসিনা বলেন, আমি নিজে বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা আমাদের দল গঠন করেছি। বিরোধীদেরও করতে হবে। তা করতে তারা ব্যর্থ হলে কে দায়ী?
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে কারাদণ্ড হয়েছে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের। এ প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, ইউনূসের বিষয়টি শ্রম আদালতের। তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বঞ্চিত, তাঁরাই মামলা করেছেন। ইউনূস শ্রম আইন ভঙ্গ করে কর্মীদের বঞ্চিত করেছেন। এখানে আমার কিছু করার নেই। তাঁকে ক্ষমার বিষয়ের প্রশ্নও আমার কাছে আসে না। তাঁর উচিত কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।