বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:: Winter Solstice বা মকর সংক্রান্তি পড়েছে আজ, শুক্রবার। এর সঙ্গে পৌষমাসের পিঠেপুলি পায়েস খাওয়ার সংক্রান্তির কোনও সম্পর্ক নেই। আজকের দিন সূর্যরশ্মি সরাসরি উল্লম্ব ভাবে পড়বে মকরক্রান্তি রেখা (২৩.৫ ডিগ্রি দক্ষিণ)-র উপরে। তাই আজকের দিনকে বলা হয় মকর সংক্রান্তি। উত্তর গোলার্ধে আজ সবথেকে ছোট দিন এবং সবথেকে বড় রাত থাকবে।
দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত। সবথেকে বড় দিনের দৈর্ঘ্য এবং রাত সবথেকে ছোট।
প্রতি বছর ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে একদিন হয় উইন্টার সলস্টিস। “solstice” শব্দটির উত্পত্তি ল্যাটিন শব্দ solstitium থেকে। লাতিন শব্দ ‘sol’ মানে সূর্য, ‘stice’ মানে স্থির । এই দু’টি শব্দের সমন্বয়ে শব্দটি তৈরি হয়েছে, যার অর্থ “সূর্য স্থির।” এই দিনেই সূর্যের দক্ষিণায়ন গতির শেষ। উত্তরায়ন গতি শুরু হয়। অর্থাত্ এ বার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীর উত্তর অংশ সূর্যের দিকে আনত হবে।
প্রতি বছর ২১-২৩ জুনের মধ্যে একটি দিন কর্কট সংক্রান্তি হয়। অর্থাত্ সূর্যরশ্মি উল্লম্ব ভাবে পড়ে কর্কটক্রান্তি রেখায় (২৩.৫ ডিগ্রি উত্তর)। সেদিন উত্তর গোলার্ধে সবথেকে বড় দিন এবং সবথেকে ছোট রাত। দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত। কর্কট সংক্রান্তির পর থেকে শুরু হয় সূর্যের ছয়মাসব্যাপী দক্ষিণ অভিমুখী অভিযাত্রা। একেই বলা হয়ে থাকে দক্ষিণায়ন। আবার মকরসংক্রান্তির পর থেকে শুরু সূর্যের ৬ মাস ব্যাপী উত্তরায়ন যাত্রা।
আজ ভারতে সূর্যোদয় সকাল ৭.০৫ মিনিটে। এবং সূর্যাস্ত বিকাল ৫.৪৫ মিনিটে। এ দিন ভারতে দিনের সময়সীমা হল ১০ ঘণ্টা ৪১ মিনিটের। অন্য দিকে রাত কিছুটা বড়। ১৩ ঘণ্টা ১৯ মিনিট রাতের সময়সীমা।
এই বিশেষ দিন ও সময়পর্বের জন্য রইল কিছু জ্যোতিষ টিপস
দক্ষিণায়ন গতি শেষে আজ থেকে শুরু হবে উত্তরায়ন। অর্থাত্ উত্তর গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে থাকবে। বাড়বে সূর্যালোকের পরিমাণও। তাই সেই সূর্যরশ্মির পজিটিভ দিককে কাজে লাগান। বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন করুন। দূর করুন নোংরা আবর্জনা।
: শীতে সর্দিকাশি সারতেই চায় না? দিনের শুরুতে গুড়ের সঙ্গে খান রান্নাঘরের এই মশলা! আরাম পাবেনই
শীতে খাবার সংগ্রহ করতে পশুপাখিদের কষ্ট পেতে হয়। তাই এই বিশেষ দিনে তাদের জন্য কিছু খাবার বরাদ্দ করতে ভুলবেন না। পাখিদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করুন। বাগান সাফসুতরো করুন। ঘরের কাছে গাছগুলিকে সাজিয়ে তুলুন।
অন্নবস্ত্র দান করুন দরিদ্রদের। শীতকালে পথবাসী মানুষও নিদারুণ কষ্টে থাকেন। তাঁদের দিকেও বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত। বাড়ির বাইরে নিরাপদে আগুন জ্বালানোর বন্দোবস্ত করুন। যাতে পথচলতি মানুষ ঠান্ডায় একটু আরাম পেতে আগুন পোহাতে পারেন।