বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
১২ জানুয়ারী ভারতীয় জাতীয় জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন। তিনি একজন সমাজ সংস্কারক বা ধর্মগুরুই ছিলেন না। তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি যুব সমাজের আইকন। তিনি বিশ্বাস করতেন তরুন্য শক্তি দেশের বিপ্লব ঘটতে পারে। তাই তিনি বার বার যুব শক্তিকে এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন। সেই কারণেই স্বামীজীর জন্মদিনকে ভারতের ‘যুব দিবস’ হিসাবে পালন করা হচ্ছে। কিন্তু কেন ১২ জানুয়ারী যুব দিবস?
প্রস্তাব ছিল অনেক দিন আগের থেকেই। তিনি যেদিন প্রথম বলেছিলেন, একদল তরুন্যতে ভরপুর যুবক সমস্ত দেশকে বদলে দিতে পারে। তিনিই নব যৌবনের প্রতীক। নানা আলোচনার পরে অবশেষে ১৯৮৪ সালে ভারত সরকার সর্বপ্রথম ১২ জানুয়ারিকে জাতীয় যুব দিবস হিসাবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দেশের যুবকদের শাশ্বত শক্তি জোগান এবং তাদের অনুপ্রাণিত করার একটি দুর্দান্ত উপায় হিসেবে এই যুব দিবসটি উদযাপন হয় দেশজুড়ে। জাতির মেরুদণ্ড হিসাবেই যুবসমাজ সমাজ সেবায় এগিয়ে এলে তবেই এগিয়ে যাব আমরা, এই ভাবনাই ছিল স্বামীজি’র। তাঁর সেই ভাবনাকেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্যই ১২ জানুয়ারী যুব দিবস।
বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিকতাবাদের পথে নবজাগরণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্নকে পাথেয় করে আজও দেশের বেশ কিছু সংগঠন, সংস্থা এবং ব্যক্তিবর্গ স্বামীজিকে স্মরণ করে থাকেন। স্বামীজি বিশ্বাস করতেন, লোহার পেশি এবং ইস্পাতের স্নায়ু শিশুদের মধ্যে থাকে। তরুণরা সামাজিক পরিবর্তন আনতে পারে। তিনি সমান পরিবর্তনর স্বপ্ন দেখতেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজতন্ত্রী। তিনি নিজেকে সমাজতান্ত্রিক বলেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং পাশ্চাত্যের অগ্রগতির সঙ্গে ভারতের আধ্যাত্মিক সমন্বয়ে ঘটানো প্রয়োজন। তিনি বিশ্বাস করতেন এই দুটি ভাবনাই একে অপরের পরিপূরক। আজকে সমাজ অগ্রগতির প্রশ্নেরও তাই বিবেকানন্দকে স্মরণ না করে উপায় নেই। যুব দিবস উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সেমিনার, প্রতিযোগিতা, যোগাসন ইত্যাদি আয়োজন করা হয়েছে৷