বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এব্যাপারে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে ২৩ জানুয়ারি থেকে সাধারণের জন্য রাম মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে। এই মন্দিরকে ঘিরে দেশ জুড়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। রাম মন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার আগেই উত্তর প্রদেশে পর্যটকের সংখ্যা বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসবিআই-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, অযোধ্যায় রাম মন্দির ও অন্য পর্যটন প্রকল্পের কারণে উত্তর প্রদেশের রাজস্ব ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি হতে পারে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশ কেন্দ্রীয় সরকারে পিলগ্রিমেজ রিজুভেনেশন অ্যান্ড স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অগমেন্টেশন ড্রাইভ প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় উত্তর প্রদেশের পর্যটন ব্যয় দ্বিগুণ হতে পারে। ২০২২ সালে দেশীয় পর্যটকরা উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির জন্য ২.২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। বিদেশি পর্যটকরা খরচ করেছিলেন ১০ হাজার কোটি টাকা। সেই তালিকায় অযোধ্যার রাম মন্দির ও অন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলি যুক্ত হওয়ার পরে পর্যটকদের ব্যয় এ বছরেই ৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতি পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য মাত্রা রাখা হয়েছে। সেখানে উত্তর প্রদেশের অর্থনীতি ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। যা নরওয়ের মতো দেশের সমগ্র অর্থনীতির আকারের থেকেও বড়। সেই সময় উত্তর প্রদেশের অর্থনীতি ভারতের অর্থনীতিতে দ্বিতীয় বড় অবদানকারী হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
রাম মন্দির তৈরি শুরুর পর থেকে উত্তর প্রদেশে রিয়েল এস্টেটে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অযোধ্যা ও আশপাশের এলাকায় জমির দাম আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। পর্যটনের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা তাদের প্রস্তুতিও জোরদার করেছে।