বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
গরিবের পার্টি। অধিকারের লড়াই লড়তে আজ মাঠে নেমেছেন তাঁরা। তাই মাংসভাত তাঁদের কাছে আতিশয্য। ডিমভাতেই পেট ভরিয়ে ব্রিগেডের ময়দানে নামবেন তাঁরা। শহরতলি থেকে আসা বাম কর্মীসমর্থকদের জন্য বেশি কিছু আয়োজন করতে পারেনি দল।
চপ-মুড়ি আর লাল চা দিয়েই টিফিন সেরেছেন তাঁরা। দুপুরে খাবারের জন্য ডিম ভাতের বেশি আয়োজন করা যায়নি। দলের কর্মী সমর্থকরাই নিজেদের হেঁসেল, বাড়ি খুলে দিয়েছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের জন্য। কার্পণ্য করেননি দলের সহকর্মীদের আপ্যায়ণে। নিজেদের সামর্থ্য মতোই তাই সহযোদ্ধা কমরেডদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
তাতে অবশ্য অভিযোগ নেই কারোর। সকালে চপ-মুড়ি বা সাধারণ মুড়ি তেলেভাজাতেই টিফিন সেরেেছন তাঁরা। ১৬ বছর পর ব্রিগেড। শহর আজ অনেকদিন পর লাল রঙে রঙিন হয়ে গিয়েছে। ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে ধীরে ধীরে ভরতে শুরু করেছে। দূর দূরান্ত থেকে বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থকরা ভিড় করেছেন সমাবেশে। বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে এই ব্রিগেড সমাবেশে।
এবারের ব্রিগেডের ক্যাপ্টেন DYFI-র রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী। ক্যাপ্টেনের বার্তা শুনতে হাজার হাজার যুব বাম সদস্য গতকাল রাত থেকে আসতে শুরু করেছেন শহরে। গতকাল রাত থেকেই কলকাতা শহরে ভিড় করতে শুরু করেছেন বাম কর্মী সমর্থকরা। শহরের ৭টি পয়েন্ট থেকে মিছিল করে আসছেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
সকাল থেকে হাওড়া-শিয়ালহ স্টেশনের চেহারাটাই বদলে গিয়েছে। ট্রেন ভরে ভরে বাম কর্মী সমর্থকরা নামতে শুরু করেছেন।আজ একাধিক ট্রেন বাতিল রয়েছে। তাতে পরোয়া নেই যে ট্রেন পেয়েছেন সেই ট্রেনেই তাঁরা কলকাতায় এসে হাজির হয়েছেন। জেলা থেকে বাসে করেও কর্মী সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। ফের একবার শহরের বুকে শোনা যাচ্ছে গণসঙ্গীত। শোনা যাচ্ছে ‘ও আলোর পথ যাত্রী’। একেবারেই বদলে গিয়েছে শহরের চেহারা। দুপুর ১২টা থেকে ব্রিগেড শুরু হওয়ার কথা।
আসানসোল থেকে ট্রেনে আসছেন মীণাক্ষীর মা-বাবা। মেয়ে আজ ব্রিগেডের মুখ সেটা দেখতেই তাঁরা আসছেন এখানে। বিজয়া দশমীর দিনে কোচবিহারে শুরু হয়েছিল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ইনসাফ যাত্রা। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ হয়ে সেই ইনসাফ যাত্রা। এক কথায় লোকসভা ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়েই আজ ব্রিগেড সমাবেশ। আর সেই দিকে তাকিয়েই শয়ে শয়ে বাম কর্মী সমর্থকরা হাজির হচ্ছেন ব্রিগেডে মাঠে।