বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
দিন দুয়েক ধরে সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে কংগ্রেস আঞ্চলিকদলগুলির সঙ্গে ন’টি রাজ্যে জোট করতে যাচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। শুধু তাই নয় বঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে ২-৪ টি আসন ছাড়ছে বলেও প্রকাশিত হয়। কিন্তু রাজ্য কংগ্রেস যে তৃণমূলের পথ ধরছে না, তা পরিষ্কার করে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি এদিন বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, কংগ্রেসের তৃণমূলকে দরকার নেই, তৃণমূলেরই কংগ্রেসকে দরকার হয়েছে।
রাজ্য কংগ্রেস শূন্য, এপ্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি বলেছেন, একবার নয়, দু’বার কংগ্রেস তৃণমূলকে হারিয়ে বহরমপুর ও মালদহে জয় পেয়েছে। তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ইচ্ছে করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বহরমপুরে দাঁড়িয়ে দেখতে পারেন। বহরমপুর ও মালদহে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে জিততে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও জানান।
অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্যে আসন ছাড়ের পরিবর্তে গোয়া, মেঘালয়ে আসন দাবি করেছে। ওই দুই রাজ্যে তৃণমূলের জোর কতটা তা সবাই জানে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কংগ্রেস সাধারণ নির্বাচনে নিজেরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের শর্তে যে কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করবে না, তা এদিন ইঙ্গিত করেছেন অধীর চৌধুরী। প্রসঙ্গত এর আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, রাজ্যে জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেছেন, তিনি নরেন্দ্র মোদীকে সেবা করতে ব্যস্ত। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস ভিক্ষা চায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলেছিলেন, তিনি জোট চান। কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করুণার প্রয়োজন নেই, কংগ্রেস নিজেরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে বলে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে জোট চান না, কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সেবায় ব্যস্ত।
ইন্ডিয়া ব্লকের চতুর্থ বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৩১ ডানুয়ারি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, পরে সেই সময় সীমার কথা স্বীকারও করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যে রাজ্যে যে আঞ্চলিক দল ক্ষমতায় রয়েছে, সেই রাজ্যে আসন ভাগাভাগিতে সেই দলকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত। সে ব্যাপারে এখনও কংগ্রেসের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।