বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI 171-র ২টি ব্ল্যাক বক্সের (Black Box) মধ্যে একটির খোঁজ মিলেছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ধ্বংসাবেশষ থেকেই বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনারের (Boeing Dreamliner) ব্ল্যাক বক্সটি পাওয়া গিয়েছে। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হওয়ায়, কী কারণে কেন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি দুর্ঘটনার (Air India crash) কবলে পড়ল, সেই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে ভারতের গুজরাটের আমদাবাদে (Ahmedabad plane crash)। ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে আমদাবাদের মেঘানিনগরে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান AI 171। টেক অফের পরই ভেঙে পড়ে বিমানটি। দুর্ঘটনায় একজন ছাড়া ২৪১ যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। সেইসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলেরও ২৪ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। মোট প্রাণহানি ২৬৫।

জানা গিয়েছে, টেক অফের পর প্রয়োজনীয় গতি (Optimum Speed) তুলতে পারেনি বিমানটি। আর তার জেরেই টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সম্ভাব্য বিপদ আঁচ করতে পেরে টেক অফের পরই AI 171-এর পাইলট এটিসিকে MAYDAY! MAYDAY! MAYDAY! বলে বার্তা পাঠান। ওই বিমানেই দিল্লি থেকে আমদাবদ যাওয়া আরেক যাত্রী জানিয়েছেন, বিমানটিতে প্রথম থেকেই গোলোযোগ লক্ষ্য করেছিলেন। তা নিয়ে একটি ভিডিয়োও করেন তিনি। এখন ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হওয়ায় দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আরও বিশদে বিস্তারিতভাবে জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ‘নোজ’ উপরের দিকে ছিল। আর নীচের অংশটি নীচের দিকে। এর মানে বোঝায়, ওই বিমানটি উড়ানের জন্য প্রয়োজনীয় গতি তুলতে পারেনি। জানা যাচ্ছে, MAYDAY কল নেওয়ার পর শেষ ৫০ সেকেন্ডে অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়া ড্রিমলাইনারের পাইলটরা বিমানটিকে টেনে তোলার অনেক চেষ্টা করেন। ADS-B মানে অটোমেটিক ডিপেন্ডেন্ট সার্ভিল্যান্স ব্রডকাস্ট যা রিয়েল টাইমে বিমানকে ট্র্যাক করার জন্য ব্যবহৃত একটি আধুনিক বিমান ট্রাফিক নজরদারি প্রযুক্তি, তার থেকে জানা গিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ড্রিমলাইনার প্রায় ৪২৫ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল। কিন্তু তারপর প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট বেগে নীচের দিকে নেমে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *