বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সাধারণভাবে সিপিএম মানেই আমরা ধরে নিই একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। কিন্তু সেখানেও মাঝে মাঝে আভ্যন্তরিন কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। দীর্ঘদিনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, দলের মহিলা নেত্রী রূপা বাগচীকে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ দিল দল। আর তাই নিয়ে দু’পক্ষের বাদানুবাদে রবিবার তপ্ত হয়ে উঠল জেলা কমিটির বৈঠক। রূপা বাগচীর মতো পরিচিত মুখ ও প্রাক্তন কাউন্সিলরকে বাদ দেওয়ার পিছনে গোষ্ঠী কোন্দলের ছায়াই দেখছে সিপিএমের একাংশ। তাঁকে অবগত না করে রূপাকে বাদ দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রূপা বাগচী পার্টির রাজ্য কমিটিরও সদস্য। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে না জানিয়েই রূপাকে জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকে কলকাতা সিপিএম বাদ দিয়ে দেওয়ায় বিতর্ক আরও বাড়ল।
রবিবার কলকাতা জেলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেলিমও। তাঁর সামনেই রূপা বাগচীকে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয় দলের অন্দরে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বৈঠক। রূপার বদলে সম্পাদকমণ্ডলীতে নেওয়া হয়েছে বেহালা পূর্বের শমিতা চৌধুরীকে। রূপা বাগচী প্রাক্তন কাউন্সিলর কলকাতা পুরসভার বামেদের বিরোধী দলনেত্রী যেমন ছিলেন, ২০০৬ সালে মানিকতলা থেকে জিতে আবার বিধায়কও হন। রূপাকে বাদ দেওয়া নিয়ে কলকাতা জেলা পার্টির তরফে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তিনি অসুস্থ। এই পরিস্থিতিতে রূপা শিবিরের প্রশ্ন, সদ্য রাজ্য কমিটির সদস্য করা হয়েছে তাঁকে। তাহলে রাজ্য কমিটিতে কেন নেওয়া হল? জানা গিয়েছে, কয়েকদিন সামান্য অসুস্থ ছিলেন সিপিএমের এই মহিলা নেত্রী। সেটাকেই কারণ হিসাবে দেখিয়ে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে।